ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অনলাইন হাটে ঝুঁকছেন খামারিরা

অনলাইন হাটে ঝুঁকছেন খামারিরা

উত্তরের সীমান্তবর্তী অঞ্চল জয়পুরহাট। সারা বছর গরু পালন করে স্থানীয় হাটে বিক্রি করে খামারিরা। এর পাশাপাশি অনলাইনভিত্তিক গরুর হাটে আগ্রহ বাড়ছে এখানকার খামারিদের। এমনই খামার থেকে অনলাইনে গরু বিক্রি করে বেশ সারা ফেলেছেন পাঁচবিবি উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা ইমামে রাব্বানী রিফাত। হাটের বিড়ম্বনা এড়াতে খামার থেকেই বিক্রি করছেন বিভিন্ন জাতের বিদেশি গরু। এমন উদ্যোগে ক্রেতারাও বেশ খুশি। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পূর্ব বালিঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ইমামে রাব্বানী রিফাত। পড়াশোনা করেন, বেসরকারি এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষে। ছোটবেলা থেকেই পশুর প্রতি একরকম ভালোবাসা ছিল তার। অন্যদিকে, পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে ২০২০ সালে তাকে দুটি বিদেশি উন্নত জাতের গরু কিনে দেন তার স্কুল শিক্ষিকা মা রহিমা খাতুন। সেই দুটি গরু দিয়ে শুরু করেন খামার। এরপর গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকলে অনলাইনে বিক্রির উদ্যোগ নেন তিনি। হাটের মতো বিড়ম্বনা না থাকায় যা বর্তমানে ব্যাপক সাড়া পড়েছে এ খামারে। দুটি থেকে বর্তমান তার খামারে প্রায় ৫০টির গরু রয়েছে। উদ্যোক্তা ইমামে রাব্বানী রিফাত বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি দুইটা গরু দিয়ে খামার শুরু করি। বর্তমানে প্রায় ৫০টির মতো গরু আছে। এসব গরুর মধ্যে বেশির ভাগ জাত বিদেশি। এসব গরু দেশে খুব বেশি পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল চাকরির পেছনে না ছুটে কীভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়। সে থেকেই এ খামার শুরু করি। বর্তমান অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বেশ সারা পাচ্ছি। এছাড়া আমার খামারে কর্মসংস্থান হয়েছে ১০ বেকার যুবকের। আগামীতে এ খামার আরো বড় করার পরিকল্পনা আছে। রিফাতের মা রহিমা খাতুন বলেন, হাটে গরু কিনতে গেলে গরুর কোনো রোগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করার সুযোগ থাকে না। এছাড়া হাটে টাকা হারিয়ে যাওয়াসহ নানা বিড়ম্বনা তো রয়েছেই। এমন কথা চিন্তা করেই অনলাইনে গরু বিক্রির উদ্যোগ নেই। যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকায়। বর্তমানে খামারে ব্রাহমা, রোজ ব্রাহমা, ফ্ল্যাগ বি, শাহিওয়াল, ফিজিয়ান, গিরি ও নেপালিয়ানসহ বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে।

সজিব মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনেক লোকের মুখে শুনেছি অনলাইন খামারের কথা। তাই এই খামারটি দেখতে এসেছি। এখানে নাম না জানা অনেক জাতের গরু দেখতে পেলাম। ভবিষ্যতে আমারও ইচ্ছা আছে এমন একটি খামার করার। আব্দুল জলিল নামে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, আমি বিভিন্ন হাটে গিয়ে গরু কেনাবেচা করি। রিফাতের খামারে অনলাইনে গরু বিক্রি হয় শুনে খামারটি দেখতে এসেছি। এসে দেখলাম সব বিদেশি গরু রয়েছে এখানে। হাটে গেলে অনেক ভোগান্তি হয়। তাই এমন খামার হাটের বিড়ম্বনা কমবে বলে মনে করছি। জয়পুরহাট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ট্রেনিং অফিসার ডা. খুরশিদ আলম বলেন, হাটে গরু কেনাবেচার থেকে অনলাইনে গরু ক্রয়-বিক্রয় অনেক সহজ। এসব খামারিদের বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত