মেট্রোরেলের আদলে মন্দিরের প্রবেশ পথ

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ দুর্গাপূজা শুরু। এবার সাতক্ষীরার ৬০৬টি মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ব্যস্ততায় যেন দম ফেলার ফুরসত নেই প্রতিমা শিল্পীদের। তাদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে দুর্গা, গণেশ ও কার্তিকসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। দেবী আসবে বলে ঘোটকে (ঘোড়া) প্রস্তুত। অনুরক্ত ভক্তকূল অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষারত। নিয়মের রথ তার আগমনী গান গাইছে। সাতক্ষীরার সর্বত্র আজ শারদীয় দূর্গোৎসবের সাজসাজ রব। নরম কাদা-মাটি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিল তিল করে গড়ে তোলা দশভুজা দেবী দুর্গার প্রতিমায় ভরে উঠেছে সাতক্ষীরার প্রতিটি পূজামণ্ডপ। নানান রং আর তুলির আঁচরে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেবীর প্রতিচ্ছবি। শেষ মুহূর্তে রংয়ের আঁচর আর সাজসজ্জায় দুর্গাদেবীকে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। শুধু তাই নয়, সরকারের উন্নয়নকে তুলে ধরতে ও ভক্তদের মন আকৃষ্ট করতে সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার মহেশ্বরকাটি সার্বজনীন পূজা কমিটির আয়োজনে মন্দিরের সামনের খালে তৈরি করা হয়েছে মেট্রোরেলের আদলে মন্দিরে প্রবেশ পথ। যা ভক্তদের মন কেড়েছে। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। সাতক্ষীরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার ৭টি উপজেলায় ৬০৬টি পূজামণ্ডপে এ বছর দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে কলারোয়া উপজেলার ৪৮টি, তালা ১৯৬টি, সাতক্ষীরা সদর ১১২টি, আশাশুনি ১০৮টি, দেবহাটা ২১টি, কালিগঞ্জ ৫১টি ও শ্যামনগরের ৭০টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৫৯৯টি ও চলতি বছর ৬০৬টি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৭টি পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিমা শিল্পী দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, একটি প্রতিমা তৈরি করতে শিল্পীদের সর্বনিম্ন ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে এ বছর। প্রতিমা তৈরির জন্য তাদের তিন থেকে চার ভ্যান মাটি লাগে। খড়ের আউর লাগে ৫ থেকে ৬ পৌন। সাতক্ষীরা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, এ বছর জেলার ৭টি উপজেলায় মোট ৬০৬টি মণ্ডপে পূজা হবে। এ জন্য মন্দিরে বিভিন্ন কাজ এর মধ্যেই শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে আমরা বিভিন্ন দাবি করেছি। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় প্রতি বছরের মতো এবারও পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে আনসার সদস্যরা ডিউটিতে থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে থাকবে পুলিশ। পুলিশের টিম পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করবে। পাশাপাশি যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো আছে তাদের ডিউটিগুলো সবসময় পর্যবেক্ষণ করবে। ভক্তদের মহেশ্বরকাটি সার্বজনীন পূজা দেখতে আশার আহ্বান জানান তিনি।