ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পীরগঞ্জে প্রায় ৬ একর জমির ফুলকপি বিনষ্টের পথে

পীরগঞ্জে প্রায় ৬ একর জমির ফুলকপি বিনষ্টের পথে

রংপুরের পীরগঞ্জে বেশ কয়েকজন ফুলকপি চাষির প্রায় ৬ একর জমির ফুলকপি বিনষ্টের পথে। ফলে ওই কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে। আর এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জমিতে জেনেটিক কোম্পানির ছত্রাক নাশক কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগের ফলে।

উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাপুর কৃষি পল্লি কালসার ডারা বাজার এলাকায় বেশ ক’জন চাষির ফুলকপির জমিতে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আব্দুল্লাপুর কালসারডারা বাজারের আশপাশে ও সংলগ্ন সাদুল্লাপুর এলাকার ডজনখানেক চাষির ফুলকপির পাতা পুড়িয়ে কুঁকড়ে গেছে। এ ব্যাপারে আব্দুল্লাপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ফুলকপি চাষি রনজু মিয়া জানান, গত সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির কারণে আমরা কালসার ডারা বাজারের হৃদয় ট্রেডার্স থেকে জেনেটিক কোম্পানির এগবেন ৫০ শতাংশ এফ নামের ছত্রাক নাশক ওষুধ নিয়ে ফসলের ক্ষেতে স্প্রে করি। ৩০ শতাংশ জমিতে ওষুধ ¯েপ্র করার ২ দিন পর থেকে ফুলকপির চারাগুলো হলুদ হয়ে মাথা নুইয়ে পুড়িয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া শুরু করে। দ্রুত হৃদয় টেডার্সের মালিক রেজ্জাকুল ইসলামকে বিষয়টি জানানো হয়। একই অভিযোগ পার্শ¦বর্তী সাদুল্লাপুরের আলীনগর বাদুরপুর ও আব্দুল্লাপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষকের। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে হৃদয় টেডার্সের মালিক রেজ্জাকুল ইসলাম তার নিজ জমিতেও চাষকৃত ফুলকপির খেতে ওই ছত্রাক নাশক ওষুধ ¯েপ্র করে একই পরিণতি দেখতে পায়।

ওই এলাকার অপর ক্ষতিগ্রস্ত চাষি লাটু মিয়া জানান, ৪০ শতক জমির ফুলকপির চারা গাছ মাটিতে মিশে যাচ্ছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে উৎপাদন করা ফসল বিনষ্টের পথে। অথচ উৎপাদিত ফসল ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করা যেতো। সেই ফুলকপির গাছ মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। আমরা কীটনাশক কোম্পানির কাছ থেকে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। একই দাবি লাটু মিয়ার মতো ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রনজু মিয়া, মুহিদুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, সাদেকুল ইসলাম, সেরাজুল, শফিকুল, রেজ্জাকুল, জাহিদুল ও শফিকুল ইসলামও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে হৃদয় টেডার্স-এর স্বত্বাধিকারী রেজ্জাকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জেনেটিক কোম্পানির মার্কেটিং অফিসারকে জানানোর পর গত ১৫ অক্টোবর কোম্পানিটির মার্কেটিং অফিসার অদিন সরকার কালসার ডারা বাজারে এলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তার কাছে থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ সময় মার্কেটিং অফিসার কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস প্রদান করে মুচলেকা দিয়ে চলে যান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত