ঝালকাঠিতে মাদ্রাসা ভবনের উপর ঝুঁকিপূর্ণ গাছ

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ছফেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার উপর ঝুঁকিপূর্ণ দুইটি রেইনট্রি গাছ থাকায় আতংকের মধ্যেই ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। একইভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছটি কেটে ফেলা না হলে এর ডালপালা বা গাছই ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মাদ্রাসাটি এরপর ১৯৮৫ সালে এমপিওভুক্ত হয়। আর এই মাদ্রাসাটির গা ঘেঁষেই নড়বড়ে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে রেইনট্রি গাছ। গাছটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশংকা রয়েছে। এ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চায় মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা।

পরিত্রাণ চান শিক্ষক ও অভিভাবকরাও। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এই মাদ্রাসার ভেতরে ক্লাস করতে আমাদের ভয় করে। কখন গাছ আমাদের মাদ্রাসার উপর ভেঙে পড়ে, এই ভয় নিয়েই ক্লাস করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, এই গাছটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। ভেঙে পড়লে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। এখন এই গাছটি দ্রুত সরানো হোক। এটা আমাদের জন্য সমস্যা ও শিক্ষার্থীদের জন্যও সমস্যা। তাছাড়া গাছটি উপরে পড়লে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং পাশে থাকা বাজারের দোকানপাটের অনেক ক্ষয়ক্ষতি সম্ভাবনা রয়েছে। গাছটি সরকারি হওয়ার কারণে চাইলেই গাছটি কেটে ফেলতে পারছে না মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

মাদ্রাসার সভাপতি ছায়িদা সুলতানা বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে আপাতত মসজিদের বারান্দায় এবং পাশে থাকা একটি ভবনে তাদের পাঠদান দেয়া হচ্ছে। যথাযথ নিয়মে গাছটি দ্রুত কেটে ফেলা দরকার। না হলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আশংকা রয়েছে।

মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ অহিদুজ্জামান বলেন, আমরা রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। এরপর বনবিভাগ থেকে এসে তদন্ত করে গেছে। কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।

ঝালকাঠি বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে রেজুলেশন পাঠানোর পরে সরেজমিনে তদন্ত করে মূল্য নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন কি কারণে গাছ কাটা হচ্ছে না, সেটি আমাদের জানা নেই।