ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ

নওগাঁয় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার পর গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে সুজন (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মনোয়ার (৩৪) নামের অপরজন পলাতক রয়েছে। আটককৃত সুজন নওগাঁ সদর উপজেলার একডালা গ্রামের ফজলুর ছেলে ও পলাতক মনোয়ার মোহনপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলে পথে একডালা গ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় গ্রাম সম্পর্কে চাচা সুজন তার ব্যাটারিচালিত অটোতে উঠিয়ে নিয়ে হাঁপানিয়া বাজারে নামিয়ে দিতে চায়। ওই ছাত্রী অটোতে উঠলে কৌশলে তাকে হাঁপানিয়া বাজারের পাশে সুজন তার ভাড়াকৃত বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে মনোয়ারকে ফোনে ডেকে নেয়। তারা দুজনে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য তাদের মোবাইলে ধারণ করে রাখে। ঘটনার বিষয়ে কাউকে বললে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। ভুক্তভোগী ছাত্রী ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। এরপর গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে মনোয়ার ওই ভিডিও দেখিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেয় এবং শারীরিক সম্পর্ক না করলে তাদের নিকট থাকা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। ঘটনার পর ছাত্রীর বাবা গত শুক্রবার রাতে নওগাঁ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ওই ছাত্রীর বাবার করা মামলার এক নাম্বার আসামি সুজনকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে। রাতে তাকে নিয়ে এসে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ মামলার অপর আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।