ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফেনীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত

এক আঙিনায় মসজিদ-মন্দির
ফেনীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত

ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্র ট্রাংক রোডে কয়েকগজের মধ্যে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ ও কালী মন্দির। ধর্মীয় উপসনালয় দুটি গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ধর্মীয় সম্প্রীতির উদাহরণ হয়ে। ১৮৭৬ সালে ত্রিপুরার রাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর ফেনী শহরে মন্দির ও মসজিদের জন্য ৫০ শতাংশ করে জমি বরাদ্দ দেন। মাত্র কয়েকশ’ গজের ব্যবধানে একদিকে পূজা অর্চনা, আরেকদিকে আজানের ধ্বনি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যকার বন্ধনকে দৃঢ় করছে প্রায় দেড়শ’ বছর ধরে। তবে ২০২১ সালে অক্টোবরের ঘটনায় এই সম্প্রীতি ও বন্ধনে কিছুটা আঁচড় লাগলেও সেটি মনে করতে চান না কেউ। কালী মন্দিরে আসা ভক্ত-পূজারিদের মতে, একটি চক্র সেদিনের ঘটনায় সাময়িকভাবে কিছুটা প্রভাব পড়লেও দীর্ঘদিনের সম্প্রীতি অটুট রাখতে চান তারা। মুসলিম ধর্মের প্রতি সম্মান জানিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে টাঙানো হয়েছে নামাজের সময়সূচি। দুর্গোৎসবে অংশ নিতে গত শনিবার সপরিবারে শহরের ট্রাংক রোডের কালী মন্দিরে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোমা সাহা। পৈত্রিকবাড়ি মানিকগঞ্জ হলেও গত জানুয়ারি মাসে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়ির সুবাধে প্রথমবারের মতো ফেনী সফর তার। সোমা সাহার মতে, ‘আবহমান কাল থেকেই বাঙালি সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। এখানে পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির রয়েছে। বছরের বিশেষ সময়ে ৫ দিন আনন্দে পূজা করি। নামাজের সময় উলুধ্বনি, ঢাক বাজানো বন্ধ রাখা হয়। অন্য ধর্মকে সম্মান দেয়া এটাই সম্প্রীতি। স্বাধীনতার পূববর্তী সময় থেকে সম্প্রীতি রয়েছে। সম্প্রীতির বন্ধনে আমরা থাকতে চাই, আমরা এটাই আশা করি। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, আবহমান কাল থেকে মসজিদ-মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মন্দিরে পূজা হচ্ছে, মসজিদে নামাজ পড়ছে। অসাম্প্রদায়িকতার জলন্ত উদাহরণ। নামাজের সময়সূচি টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে। যখন আজান হবে, তখন আমরা সংযত থাকব। যখন আমরা পূজা করব, তখন মুসলমান সম্প্রদায় সংযত থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত