ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পূজামণ্ডপ পার্বতীপুরে

হাজারো ভক্তের পদচারণায় মুখরিত
উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পূজামণ্ডপ পার্বতীপুরে

উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পার্বতীপুর উপজেলার ভবেরবাজার সার্বজনীন দুর্গাপূজামণ্ডপে হাজার হাজার ভক্ত দেবী দর্শন ও ভক্তি প্রদানের জন্য সমবেত হচ্ছেন। প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এই আয়োজন প্রত্যক্ষ করার জন্য রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজা অঙ্গন। দিনাজপুর-পার্বতীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উভয় পাশের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। কর্তৃব্যরত আনসারসহ মন্দির কমিটির ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকের দল শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ছোট যমুনা নদীর পাশে প্রায় ৫ একর জায়গাজুড়ে গোবিন্দপুর চাম্পাতলী ভবেরবাজার সার্বজনীন দুর্গামণ্ডপ।

এবছর ভারতের মায়াপুরের ঐতিহাসিক ইসকন মন্দিরের আদলে নির্মিত হয়েছে মণ্ডপ। মন্দির কমিটি জানান, বোধনের দিন থেকে আগামী লক্ষ্মীপূজা পর্যন্ত সনাতন সম্প্রদায়ের জন্য দেবী রাখা হবে। উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ভবেরবাজারের দুর্গা প্রতিমা দর্শন করে ভক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, নাটোর এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের ভক্তরা সপ্তমীর দিন থেকে মেলা প্রাঙ্গণে আসছেন। বৈচিত্র্যময় ও নান্দনিক সৌন্দর্যে শোভিত দুর্গামন্দির পরিদর্শন করে দর্শনার্থীরা বিমুগ্ধ হচ্ছেন। মেলা কমিটির সভাপতি জগদিশ চন্দ্র রায় বলেন, আশপাশের দশ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন সার্বিক সহযোগিতার ফসল এই সর্বজন সমাদৃত ভবের বাজার দুর্গা মন্দির। তিনি বলেন, গত ৪০ বছর ধরে এখানে দুর্গাপূজার আয়োজন হয়ে আসছে। তবে গত ৭ বছর ধরে পূজার আয়তন ও পরিধি বিস্তৃতি লাভ করায় সৌন্দর্যমণ্ডিত মণ্ডপ হিসেবে এখানকার খ্যাতি ও সুনাম সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। এবছর পূজা উদযাপনে ব্যয় হচ্ছে আনুমানিক ৪০ লক্ষাধিক টাকা। নিরাপত্তা বিধানের জন্য বসানো হয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরার নেটওয়ার্ক। তিনি বলেন, সকলের আন্তরিক সহযোগিতার কারনেই আমাদের পক্ষে এই বিপুল আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক শাকিল আহেমদ, পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর ইসলাম প্রামাণিক, পার্বতীপুর পৌরসভার মেয়র মো. আমজাদ হোসেন এবং পার্বতীপুর ইউএনও মো. ইসমাইলসহ বিভিন্ন জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মণ্ডপ পরিদর্শনে এসে ভুয়শীপ্রশংসা করেন। আগত ভক্তদের জন্য প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে নারায়ন সেবার ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত