ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নওগাঁয় সিমের কেজি ১৮০ টাকা

নওগাঁয় সিমের কেজি ১৮০ টাকা

নওগাঁর বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম শীতকালিন সবজি। সরবরাহের তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেশ চড়া। বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি চাষিরা। তবে দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অস্বস্তিতে ক্রেতা। সবজির বাজার স্বাভাবিক হতে আরো প্রায় ১ মাসের অধিক সময় লাগবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জেলায় বিভিন্ন জাতের প্রায় ৮ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে শাকসবজির চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০ মেট্রিক টন উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। তবে আগাম শীতকালিন সবজির চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫০ হেক্টর। ভোরের কুয়াশা শাকসবজির ফুল ও লতায় পড়লেও সকালের সূর্যের আলোয় তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা। অনাবৃষ্টিতে শাকসবজির আবাদের কৃষকদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আবার সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে অতিবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। অনাবৃষ্টি এবং অতিবৃষ্টিতে শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে শাকসবজির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদনের পরিমাণ কম হওয়ায় বেড়েছে সবজির দাম। নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের সোমবাড়ি হাট। সোমবার সাপ্তাহিত হাটবার। এ হাটে ভোর থেকে চাষিরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজি বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে পাইকারি বেচাকেনা। হাট ঘুরে দেখা গেছে- পাইকারিতে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সিম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। এছাড়া বেগুন ও করলা ৯০ টাকা, মুলা ও বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, ওল ৩৫-৪০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ টাকা পিস এবং লাউ ২০ থেকে ২৬ টাকা পিস। ব্যবসায়িরা এ হাট থেকে সবজি কিনে প্রতিকেজিতে ১৫-২০ টাকা লাভে তারা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করে। চকআতিতা গ্রামের সবজি চাষি ইসরাফিল বলেন- এক বিঘা জমিতে চার হাজার পিস ফুলকপির চারা লাগিয়েছিলাম। কিছুদিন আগের বৃষ্টিতে বেশকিছু চারা নষ্ট হয়ে যায়। হাটে ৭০ পিস ফুলিকপি নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতি পিস ৪০ টাকা হিসেবে বিক্রি করলাম। গত হাটে ১৫ পিস বিক্রি হয়েছে।

দিন যত যাবে ফুলকপি তত বড়ো হবে। বর্ষাইল গ্রামের সিম চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন- দুই কাঠা জমিতে সিমের আবাদ করেছি। গাছে ফুল আসলেও ফল আসতে দেরি হয়েছে। দুইবার সাত কেজি সিম বিক্রি করেছি। পাইকারিতে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সিমের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেশি পেয়ে লাভবান হচ্ছি। তবে উৎপাদনের পরিমাণ যখন বেশি হবে, তখন দাম কমে আসবে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন- আবহাওয়া বিপর্যয়ের কারণে গাছে সিম আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে দিনের পরিমাণ কমে আসায় শীত বাড়ছে। এতে করে সিমসহ অন্যান্য আগাম জাতের শাকসবজির আবাদ ভালো হবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত