সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রবিউল আলম লিটন, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেতুটি দীর্ঘ দিনের পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এমনিতেই চরম ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। তাই মাঝেমধ্যে সেতুটির পাটাতন দেবে ও ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সকালে সোনাহাট সেতুর স্টিলের অংশের পাটাতন ভেঙে একটি ট্রাক আটকে যায়। পরে অপর প্রান্ত থেকে অন্য একটি ট্রাক এনে আটকেপড়া ট্রাকের সঙ্গে রশি বেঁধে টেনে তোলা হয়। পরবর্তীতে ট্রাকসহ সব ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় সেতুটির দুই পাড়ে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী লোকজন। এতে করে সেতুর দুই পাড়ে যানবাহনের লম্বা সারি দেখা দিয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির বিভিন্ন স্থানে পাটাতন ভেঙে গেছে এবং ট্যাংক জাম (লোহার পাতি) খুলে গেছে। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন। স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিটিশ শাসনামলে সৈন্য ও রসদ সরবরাহ করার জন্য ১৮৮৭ সালে লালমনিরহাট থেকে ভারতের গৌহাটি পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়। তারই অংশ হিসেবে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদের ওপর নির্মিত হয় ১২০০ ফুট দীর্ঘ সোনাহাট রেলসেতু। জানা যায়, নির্মাণকালে সেতুটির আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়ে ছিল ১০০ বছর। সে মতে সোনাহাট সেতুর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। নড়বড়ে সেতুটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় রকমের দুর্ঘটনা। বন্ধ হয়ে যেতে পারে সোনাহাট স্থলবন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম। তাই দ্রুততম সময়ে পাশে পিসি গার্ডার নতুন সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতি মাসে সেতুটি রিপিয়ারিং করতে হয়। না হলে যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, ওভার লোডের কারণে একটি ট্রাক সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে আটকে যায়। সেটা মেরামতের কাজ চলছে। এটা অনেক পুরাতন বেইলি ব্রিজ মাঝে মাঝেই এরকম হচ্ছে। এখানে আমাদের সাইনবোর্ড দেয়া আছে যাতে ১০ টনের অধিক লোড নেয়া না হয়। তারপরেও ৩০-৪০ টন লোড নিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলছে। অতিরিক্ত লোডের কারণে এই সমস্যাটা হচ্ছে।