ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুন্দরবনে নির্বিচারে হরিণ শিকার

জড়িত কিছু বন কর্মকর্তা
সুন্দরবনে নির্বিচারে হরিণ শিকার

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি রাতে নির্বিচারে চলছে হরিণ শিকার। সহযোগিতা করছে স্টেশন অফিসগুলোর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় প্রতিনিয়ত চলছে হরিণ শিকার। চোরাশিকারিরা ফাঁস দিয়ে হরিণ শিকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হরিণ শিকারে সহযোগিতা করছে বুড়িগোয়ালিনী অফিসের কর্মকর্তা হাবিবুল্ল্যাহ, কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ির কর্মচারী এনামুল কবীর, কদমতলা স্টেশন অফিসের সানা রঞ্জন পাল। এদের সঙ্গে চোরা শিকারিদের রয়েছে সখ্যতা, হরিণপ্রতি চুক্তিতে টাকা নিয়ে সুযোগ করে দিচ্ছে। চোরা শিকারিরা বিকালে বনে প্রবেশ করে ফাঁদ পেতে রাখছে। ভোরে সেই ফাঁদে আটকা পড়া হরিণ নিয়ে লোকালয়ে এসে মাংস বিক্রি করছে। অনেক সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে বন বিভাগে সোপার্ধ করছে। আইনের মারপ্যাঁচে ওইসব শিকারিরা মুক্তি পেয়ে ফের ফিরে যাচ্ছে পূর্বের পেশায়। গত রোববার মধ্য রাতে একদল হরিণ শিকারি ৩টা হরিণ শিকার করে ৮০ কেজি মাংস নিয়ে গাবুরার ৯নং সোরা এলাকা দিয়ে পাচারের সময় স্থানীয় সিপিপি সদস্য আটক করে বন বিভাগের সদস্যদের খবর দেয়, পরে বন কর্মকর্তরা গিয়ে মাংস উদ্ধার করলেও কোনো পাচারকারীদের আটক করতে পারেনি। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক একেএম ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং মাংস উদ্ধার করি। মাংস রেঞ্জে অফিসে মাটিতে কেরোসিন মেখে পুঁতে ফেলা হয়েছে এবং বন আইনে মামলা হয়েছে। পাচারকারীদের ধরতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত