মিরসরাইয়ের মহিষের দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দেশজুড়ে সুনাম রয়েছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মহিষের দইয়ের। বিয়ে, আকিকা, জেয়াফতসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে মহিষের দই না থাকলে যেন অনুষ্ঠানের পূর্ণতা পায় না। অনেকে মিষ্টির বিকল্প হিসেবে নতুন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে নিয়ে যান এখানকার দই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা বছরই মিরসরাইয়ের মহিষের দইয়ের চাহিদা থাকে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন জেলায়। রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। উপজেলার উপকূলীয় ইছাখালী ইউনিয়ন, বামনসুন্দর ও রহমতাবাদ এলাকা থেকে দই তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এখানকার দইয়ের স্বাদেও আছে কিছুটা ভিন্নতা। সম্প্রতি মিরসরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি বিদায় অনুষ্ঠানে ৩০০ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাড়তি আকর্ষণ ছিল মহিষের দই। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মাস্টার মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘চরাঞ্চলের মহিষের দই হলো আমাদের ঐতিহ্য। বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক অনুষ্ঠানে দইয়ের ব্যবস্থা করে থাকি। এবার শিক্ষকদের বিদায় অনুষ্ঠানে খাবার শেষে দইয়ের আয়োজন অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।’ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত অনেক হোটেলে গ্লাসভর্তি মহিষের দই বিক্রি করা হয়। প্রতি গ্লাসের দাম ২৫-৩০ টাকা। কাটাছরা ইউনিয়নের বঙ্গনুর এলাকার বাসিন্দা ওমর শরীফ বলেন, বছরে আমাদের বেশ কয়েকটা পারিবারিক অনুষ্ঠান থাকে। তবে প্রতিটি অনুষ্ঠানে মহিষের দই থাকা চাই। এজন্য অনুষ্ঠানের ৩-৪ দিন আগে অর্ডার দিতে হয়। অনুষ্ঠানে এসে কারিগররা দই তৈরি করে দেন। ইছাখালী ইউনিয়নের টেকেরহাট এলাকার দই বিক্রেতা নুরনবী। তিনি জানান, আগের তুলনায় মহিষের দই অনেক কমে গেছে। এর কারণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার পর মহিষের চারণভূমি কমে গেছে। এজন্য এখন খামারে মহিষ রাখা কমিয়ে দিয়েছেন মালিকরা। যে খামারির কাছে আগে শতাধিক মহিষ ছিল, এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এজন্য দুধের দামও বেড়ে গেছে। উপজেলার চরশরৎ এলাকার বাসিন্দা শাহ জালাল। তিনি বলেন, ‘একসময় আমাদের কাছে দুই শতাধিক মহিষ ছিল। কয়েকজন লোক মহিষ পালনের জন্য থাকত। এখন মহিষের সংখ্যা ১০০ হবে।’ চাকরিজীবী শামসুল আলম বলেন, মিরসরাই উপজেলার উপকূলীয় এলাকার দই খাঁটি।