হেমন্তের প্রকৃতিতে অন্যরকম শীতলতা

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

হেমন্ত এলেই প্রকৃতির মতো যেন এক অন্য রকম শীতলতা ও অনুভূতি তৈরি হয় জীবনে। এখন দিন শুরু হচ্ছে কমলার মতো শীতল সূর্যের মোহনীয় আলোয়। চারিদিক ঘিরে কুয়াশার চাদর। মাঝ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঝরছে শিশির। আর এসব শিশির জমছে ফসলের খেতে আর ঘাসের ডগায়। পাল্টে যাচ্ছে বরেন্দ্র এলাকার রুক্ষ প্রকৃতি। মূলত পৌষ-মাঘ এই দুই মাস শীতকাল ধরা হলেও আশ্বিন-কার্তিকের দিকে গুটি গুটি পায়ে শীতের আগাম বার্তা জানান দিচ্ছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয়। সারা দিনে গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হওয়া। প্রতিদিন ভোরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে কুয়াশার। শীতের আগমনীতে প্রকৃতিতেও ফুটে উঠছে বৈচিত্র্য। হেমন্তের স্নিগ্ধ এমন সকাল উপভোগ করছেন অনেকেই। এদিকে, শীতের আগমনীতে সবজি খেতে বেড়েছে কৃষকের ব্যস্ততা। কৃষকরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, লাউ, টমেটো, লাল শাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করছেন। শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা সিয়াম সোহাগ বলেন, প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এরইমধ্যে তেমনই আবহ শুরু হয়েছে প্রকৃতিতে। ভোরে শিশির ঝড়ছে। সকালের হালকা শীত জানান দিচ্ছে শীত আসছে। কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো শীতের সৌন্দর্য পূর্ণতা পাবে। বরুনকান্দি এলাকার আকবর হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে থেকেই ভোরে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। তবে সূর্য ওঠার পর কুয়াশা আস্তে আস্তে কমে যায়। আবার দিনে কিছুটা গরম থাকে। শেষ রাতের দিকে একটু ঠান্ডা লাগে, হালকা চাদর গায়ে দিতে হয়। গায়ের মধ্যে শিন শিন করে। মনে হচ্ছে, শীত খুব তাড়াতাড়ি এবার আসবে। সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের জবার মোড় গ্রামের সবজিচাষি আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ বছর আগাম শীতের আমেজে আগাম ফুলকপি ও সবজির চাষ করা হয়েছে। এতে ভালো দাম পাওয়া যায়। নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, এক সপ্তাহ আগে থেকেই জেলায় দিনে রোদণ্ডগরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই তাপমাত্রা কমে যায়। হালকা শীত অনুভূত হয়। ভোরে কুয়াশা থাকে। মনে হচ্ছে এবছর শীত একটু আগেই চলে এসেছে। এছাড়াও এবছর শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।