ভাগ্যকুলে খাল দখল করে ভরাটের অভিযোগ

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ভাগ্যকুল বড় খাল দখল করে ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। এতে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলা রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের বালাশুর বানিয়াবাড়ি দিয়ে বয়ে যাওয়া বড় খালটি দখল করে বালু ভরাট করছে ওই এলাকার মৃত হাজী কালু মীরবলের ছেলে প্রবাসী ইউসুফ মীরবল। বড় খালটি ভাগ্যকুল বাজার সংলগ্ন পদ্মানদী থেকে উৎপত্তি হয়ে ভাগ্যকুল বাজার ঘেঁষে ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে বালাশুর বৌবাজার শ্রীনগর-দোহার আন্তঃসড়কের নিচে দিয়ে বালাশুর বানিয়াবাড়ি ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়ে বালাশুর চল্লিশঘর হয়ে আড়িয়াল বিলে মিশছে। পুরাতন এই খাল দিয়ে একসময় লঞ্চ, স্টিমার, বড় বড় ঘাসি নৌকা, ডিঙ্গি নৌকাসহ সব ধরনের নৌ-যান চলাচল করত।

আর ব্যবসায়ীরা নৌপথে ঢাকা থেকে মালামাল এনে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করত। কতিপয় কিছু ব্যক্তি নিজ স্বার্থে প্রবাহমান এই খালটি মাঝপথে মাটি ভরাটের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ করে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বালাশুর বানিয়াবাড়ি ও বাঘাডাঙ্গা গ্রাম দিয়ে বয়ে গেছে এই বড়খালটি। স্থানীয় ইউসুফ মীরবল ওই খাল দখল করে বালি ভরাট করছেন। এভাবে খাল ভরাট করা হলে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন লোকজন। বালাশুর বানিয়াবাড়ি ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এ খাল দিয়ে পদ্মা নদী থেকে আড়িয়া বিলে পানি আসে এবং বর্ষার পানি নিষ্কাশন হয়। সরকারি এ খালটি দখল হলে বর্ষা মৌসুমে এই এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মানিক দেওয়ান অভিযোগ করেন, ইউসুফ মীরবল সরকারি খাল দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে ইউসুফ মীরবলের দাবি, তিনি কোনো খাল দখল করেননি। খালের সামান্য অংশ ভরাট হয়েছে। এতে পানি নিষ্কাশনের কোনো সমস্যা হবে না। বাঢ়ীখাল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক খান বারি বলেন, খাল ভরাটের বিষয়টি আমি জানি না আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনারা আপনাদের মতো ব্যবস্থা নেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।