খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আগে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজটে পড়তে হতো। শিক্ষা জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হতো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট নেই। সময়মতো শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মে প্রবেশ করতে সক্ষম হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে সাপাহার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশে বর্তমানে কারিগরি ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষারও বিস্তার ঘটছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বশীল প্রজন্ম তৈরি করতে বর্তমান সরকার শিক্ষাক্রমে গুণগত পরিবর্তন এনেছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশের মূল হাতিয়ার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে চিনতে হবে। সেইসঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। বিশ্বের দরবারে দেশকে উঁচুতে তুলে ধরার মানসিকতা নিয়ে বড় হওয়ার আহ্বানও জানান খাদ্যমন্ত্রী। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে গড়তে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই শিক্ষার্থীদের আগামীর জন্য আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের হাত ধরেই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন হবে। সাপাহার পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল বারী শাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন, জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান, অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম শাহ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাপাহার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাজেদুল আলম। পরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারী ১৪২ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।