ডিঙি নৌকায় খাল পার হয় ছয় গ্রামের মানুষ

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও খালের ওপর নির্মিত হয়নি সেতু। তাই খাল পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় ছয়টি গ্রামের অন্তত পাঁচ সহস্রাধিক মানুষের। শুকনো মৌসুমে খালের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে লোকজন কোনো রকম যাতায়াত করলেও বর্ষাকালে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বর্ষায় খালে ডিঙি নৌকার মাধ্যমে জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে দিয়ে খাল পারাপার হতে হয় তাদের। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এ রাজী খালটি। এ খাল পারাপার করতে হয় ইউনিয়নটির ১ ও ২নং ওয়ার্ডের ছয়টি গ্রামের অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী নারী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষকে। খাল পারাপার করতে গিয়ে প্রায় সময়ই ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এসব দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় বলে জানান স্থানীয়রা। এ অবস্থায় অনতিবিলম্বে খালটির ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য দাবি জানান এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজী খালটি হারুলিয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মোজাফফরপুর ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডকে পৃথক করেছে। ফলে খালটির আশপাশের ছয়টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াত করতে হয় এ খাল পার হয়েই। স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই খাল পার হয়েই তাদেরকে উপজেলা সদর, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাওয়া আসা করতে হয়। বর্তমানে এ ডিঙি নৌকার মাধ্যমে খাল পারাপার হচ্ছেন স্থানীয় ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছয়টি মাদ্রাসা ও একটি কলেজের শিক্ষার্থীসহ ছয় গ্রামের মানুষ। তবে ডিঙি নৌকায় খাল পারাপার করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পরিবহণে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এছাড়া গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ রোগীদের নিয়ে ঝুঁকির মধ্য দিয়ে খাল পারাপার করতে হচ্ছে। দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় চৌকিদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল আহমেদ বলেন, রাজী খাল এক সময় নদী ছিল। তবে এখন আগের অবস্থা নাই। তবে খাল দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষক, জেলেসহ শত শত মানুষ চলাচল করেন। এখানে একটা সেতু নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।