বগুড়ায় আলোচনা সভায় বক্তারা

সন্তানকে ধূমপায়ী বানাচ্ছে সিগারেট কোম্পানি

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আজাহার আলী, বগুড়া

বর্তমান সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তামাক (সিগারেট) কোম্পানিগুলো সরকারের জনস্বাস্থ্য রক্ষার এ মহৎ উদ্যোগকে ব্যাহত করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অপচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য দেশের তরুণ সমাজকে ধূমপানের দিকে আকৃষ্ট করা। অর্থাৎ আপনার সন্তানকে ধূমপায়ী বানিয়ে বাণিজ্য করাই তাদের উদ্দেশ্য। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা অসংক্রামক রোগের চাপে বিপর্যস্ত। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ নানা অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ তামাক ব্যবহার। দেশের ৩ কোটির বেশি মানুষ তামাক ব্যবহার করে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে তামাক ত্যাগ করাতে সরকার নানা উদ্যোগে ব্যস্ত। অপরদিকে কোম্পানিগুলো আইন ভঙ্গ করে নতুন নতুন ধূমপায়ী তৈরি এবং দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করছে। নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিক্রেতাদের উৎসাহিত করছে। বিক্রয় কেন্দ্রগুলোকে দাম প্রদর্শন, হ্যান্ডবিল, ডিসপ্লে, পোস্টারসহ নানা অভিনব ও আকর্ষণীয় উপায়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। জনগণের সুরক্ষার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানি প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার পাশাপাশি বিক্রেতাদের পাটনার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে ই-সিগারেটকে আধুনিক ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপ্রয়াসকে নিষিদ্ধ করা হলে তামাকের ব্যবহার অনেক কমে যাবে। সেইসঙ্গে তামাকের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। গতকাল বগুড়ার শহর সমাজ সেবা অধিদপ্তর কার্যালয়ে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট ও মেরী সমাজ কল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।