ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৩০ বছর ধরে অটুট নরুন্নবীর পেঁয়াজুর জনপ্রিয়তা

৩০ বছর ধরে অটুট নরুন্নবীর পেঁয়াজুর জনপ্রিয়তা

পাঁচ কেজি পেঁয়াজ দিয়ে শুরু হয়েছিল। তবে এখন নরুন্নবী মন্ডলের প্রতিদিন কাটতে হয় ৩ মণ পেঁয়াজ। এর কারণ তার হাতে বানানো মুচমুচে সুস্বাদু পেঁয়াজুর জনপ্রিয়তা। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বেড়াখাই বাজারে ৩০ বছর ধরে তার বানানোর পেঁয়াজুর সুনাম। এ কারণেই দূর-দূরান্তের মানুষ তার দোকানে ভিড় করেন প্রতিদিন। উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের নুরুন্নবী মন্ডল সংসারে অভাব অনটের কারণে পড়াশোনা করতে পারেননি। ৩০ বছর আগে বেড়াখাই বাজারে ৫ কেজি পেঁয়াজের পেঁয়াজু বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে সাড়ে ৩ মণের পেঁয়াজের পেঁয়াজুর বিক্রি করেও তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দূর-দূরান্তের মানুষ পেঁয়াজুর স্বাদ নিতে আসেন। বিক্রিও ভালো হওয়ায় সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তার এই দোকানে সকাল থেকে শুরু হয় পেঁয়াজু তৈরি প্রক্রিয়া। সারি হয়ে বসে ১০ জন নারী কাটছেন পেঁয়াজ। আর ৮ জন কর্মচারী কেউবা কড়াইয়ে দিচ্ছেন মজাদার এই পেঁয়াজু কেউবা গরম গরম এই পেঁয়াজু বিক্রি করছেন। তাদের কর্মসংস্থানের একটি ব্যবস্থা করে দিয়েছেন পেঁয়াজু বিক্রেতা নুরুন্নবী মন্ডল। মাসে তার আয় লাখ টাকা। সুস্বাদু মজাদার ও মুখরোচক এই পেঁয়াজু খেতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় করছেন জয়পুরহাটসহ বগুড়া, গাইবান্ধা, দিনাজপুরের ভোজনরশিক মানুষ। জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল গ্রাম থেকে পেঁয়াজু খেতে আসেন আনিছুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, এই দোকানে পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু তৈরি করা হয়। এই জন্য পেঁয়াজুর মধ্যে পেঁয়াজের স্বাদ পাওয়া যায়। প্রায় প্রতিদিন এখানে আসা হয় বেড়াখাইয়ের পেঁয়াজু খেতে। মাঝেমধ্যে একা আসি আবার পরিবার ও বন্ধুদের নিয়েও আসি। এটা খুব সুস্বাদু ও মুচমুচে। দিনাজপুরের হিলি থেকে আসা বকুল হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, আমি খোঁজ পেয়ে এখানে এসেছি। সত্যিই রুচিসম্মত পেঁয়াজু এটা। বেশ মন ভরে খেলাম। নুরুন্নবী মন্ডল বলেন, ৩০ বছর আগে বেড়াখায় বাজারে প্রথম ৫ কেজির পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু তৈরি শুরু করি প্রথমে তেমন সারা না পেলেও বর্তমানে ব্যাপক সারা পেয়েছি। প্রতিদিন সাড়ে ৩ মণের পেঁয়াজের পেঁয়াজু তৈরি করা হয়। মাসে তার আয় লাখ টাকা। বেচাকেনা করে নিজের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখেই দিন কাটছে এবং স্বচ্ছলতা ফিরেছে। পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন বলেন, বেড়াখাই বাজারে কোনো দোকান ছিল না। নুরুন্নবী প্রথমে পেঁয়াজু বিক্রি শুরু করেন। বর্তমানে এখন অনেক দোকান হয়েছে। কিন্তু নুরুন্নবী দোকানের পেঁয়াজু স্বাদ নিতে কেউ ভুলেন না। শুধু স্থানীয়রা না আসে পাশের জেলা থেকে ভিড় করছেন ভোজনরসিক মানুষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত