ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঝালমুড়ি বিক্রি করে জাকিরের মাসে আয় ২ লাখ

ঝালমুড়ি বিক্রি করে জাকিরের মাসে আয় ২ লাখ

কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ কুচি মসলা আর আচারের সঙ্গে মচমচে মুড়ি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মজাদার ঝাল মুড়ি মাখা। চারপাশ থেকে ঘিরে আছে ক্রেতারা। সিরিয়ালে থেকে নিতে হচ্ছে মুড়ি। শরীয়তপুর শহরের শিল্পকলা মাঠে ভ্রাম্যমাণ এক দোকানে এভাবে বিক্রি হচ্ছে জাকির ভাইয়ের সুস্বাদু ঝাল মুড়ি। এই শিল্পকলা মাঠ শহরের বিনোদনের অন্যতম স্থান। প্রতিদিন এই মাঠে হাজার হাজার মানুষের জনসমাগম ঘটে। ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এই মাঠে রয়েছে ছোট বড় অনেক ধরনের খাবারের দোকান। তার মধ্যে সবার প্রিয় জাকির ভাইয়ের সুস্বাদু ঝাল মুড়ি। এই মুড়ির স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে বড়ই আচার। জাকির বড়ইয়ের মৌসুমে আচার বানিয়ে রেখে দেন। এরপর সেই আচার দিয়ে সারা বছর মুড়ি বিক্রি করেন। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে জাকির তার মুড়ি খেতে এসে লাইনে থাকতে হয় ক্রেতাদের। প্রতি প্লেট মুড়ি রাখেন বিশ টাকা। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা। এর আগে শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিনে বেচাকেনা করেন তিনি। আর যে দিনগুলোতে স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে সেই দিন শিল্পকলায় তাড়াতাড়ি দোকান খোলেন। জাকির হোসেন শহরের বড়াইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সদর হাসপাতালের অপর পাশে শিল্পকলা মাঠে ভ্যান গাড়ির ওপরে ঝাল মুড়ি বিক্রি করেন। তিনি সকালে ও বিকেলে দুইবেলা মুড়ি বিক্রি করেন তিনি। শুধু বিকেল বেলায় শিল্পকলা মাঠে তার বেচাকেনা হয় লাখ টাকার ওপরে। আর সারাদিন হিসাব করলে দিন শেষে মাস গড়িয়ে প্রায় ২ লাখ টাকার ওপরে বেচাকেনা হয় তার দোকানে। জাকির হোসেন বলেন, আমি আগে আচার বিক্রি করতাম, ৭ বছর ধরে এই মুড়ি বিক্রি করছি। এখন আমার এই ঝালমুড়ির ব্যবসা এতই জমজমাট যে, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। উৎসবের দিনগুলোতে চাপ বেড়ে যায়। ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন প্রতিদিন আমি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করি। জাকির জানান, স্ত্রী-সংসার নিয়ে এখন বেশ সুখেই আছেন। তার ২ মেয়ে ও এক ছেলে। বড়ো মেয়েটা এবার ক্লাস ফোরে পড়ে। এই পেশার আয় দিয়ে তিনি ছেলে-মেয়েকে পড়াচ্ছেন। জাকির বলেন, আমার প্রতিদিন খুব ভালো বেচাকেনা হয়। এমন সময় আসে, যখন আমি লোক সামলাতে হিমসিম খাই। আমার এই দোকান ঘিরে চারজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে, যাদের প্রত্যেককে খাওয়া-দাওয়াসহ ৫০০ টাকা দিন প্রতি দিতে হয়। কিন্তু মুড়ি আমাকেই তৈরি করতে হয়। আমার দুই বেলা দোকানের হিসেব করলে দৈনিক করে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। তবে শুধু বিকেলে হিসেব করলে মাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা হয়। তবে বিকেল থেকে সকালে বেচাবিক্রি বেশি হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত