নওগাঁয় কাঠের বিকল্প হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে পারটেক্স ও মালয়েশিয়ান বোর্ডের আসবাবপত্র। তুলনামূলক দাম কম ও মানে ভালো হওয়ায় সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে পছন্দের। ঘুনে ধরা বা পোকা না লাগার কারণে সহজে নষ্ট হয় না। এতে বাড়ছে চাহিদা। যেখানে মালিক, কারিগর ও কর্মচারীর কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৪ হাজার।
প্রতিদিন জেলায় প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার বেচাকেনা হচ্ছে এসব আসবাব। কাঠের আসবাবপত্রের বিকল্প হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আসবাবপত্রের চাহিদা ও স্বপ্নপূরণ করছে এসব বোর্ড। তুলনামূলক দাম কম ও মান ভালো হওয়া এবং ঘুনে ধরা বা পোকা না লাগার কারণে সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে পছন্দের। এমনকি সহজে নষ্ট হয় না। একটি কাঠের খাট যেখানে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা সেখানে একটি বোর্ডের খাট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। দামের দিক দিয়েও অনেক সাশ্রয়ী। এছাড়া খাট ও আলমিরা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা, ড্রেসিং টেবিল ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা, ওয়ারড্রোব ও সুকেস ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা। সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের গৃহবধূ পারভিন আক্তার বলেন, তিন পাল্লার একটা আলমিরা ও একটা ড্রেসিং টেবিল কিনতে খরচ হয়েছে ২৪ হাজার টাকা। যদি কাঠের হতো সেখানে দাম প্রায় তিন গুণ হতো। দামের দিক দিয়ে কিছুটা সাশ্রয়ী হয়েছে। সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে পছন্দের। বোর্ড দিয়ে তৈরি আসবাবপত্রের কারিগর মিজানুর রহমান মঞ্জু বলেন, আগে আমরা কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করতাম। সময় এবং শ্রম দুটিই বেশি লাগত। গত প্রায় ২০ বছর থেকে বোর্ড দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করা হচ্ছে। এতে সময় ও শ্রম কম লাগছে এবং মজুরিও বেশি পাওয়া যায়। এ কারণে অধিকাংশ কারিগররা এখন ঝুঁকছেন পারটেক্স ও মালয়েশিয়ান বোর্ড দিয়ে তৈরি আসবাবপত্রে। বোর্ডের দাম কমলেও বেড়েছে হার্ডওয়ার (কবজা, নাট-বল্টু ও স্ক্রু) সামগ্রির দাম। এতে লভ্যাংশের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ফিরোজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ফিরোজ হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই কমেছে পারটেক্স ও মালয়েশিয়ান বোর্ডের দাম। প্রকার ভেদে প্রতিটি বোর্ডে দাম কমেছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা। ভালো মানের একটি বোর্ডের দাম বর্তমানে দেড় হাজার টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা। বোর্ডের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় আমার প্রায় ৭ লাখ টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে। যাদের ব্যাংকঋণ আছে তাদের জন্য সমস্যাটা একটু বেশি।
