নওগাঁয় পেঁয়াজ-আলুর দাম বেড়েছে

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁয় পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়েছে। বাড়তি দামে এসব কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। তবে বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম। পেঁয়াজ ও আলুর দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে নাভিশ্বাস ঠেকলেও সবজিতে রয়েছে স্বস্তি। ব্যবসায়িদের দাবি, সর্বশেষ বৃষ্টিতে আলু ও পেঁয়াজ রোপণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এ কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় আলু ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। নওগাঁ পৌর পাইকারি বাজারে- সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০-১২৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০০ টাকা। ৫-৭ টাকা বেড়ে দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা এবং হলেন্ডার আলু ৫৫-৫৬ টাকা। প্রকারভেদে প্রতি কেজি সবজিতে ১০-১৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে- পেঁপে ২৫ টাকা, শসা ৩০, বরবটি ৩৫, মুলা ৩৫, বেগুন ৪০, পটল ৪৫, করলা ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৬০, ফুলকপি ৬০, মুলা শাক ৪০, লাল শাক ৬০, পালং শাক ১০০, কাঁচা মরিচ ৯০ টাকা কেজি এবং লাউ প্রতি পিস ৩০ টাকা। পাইকারি বাজার সকাল থেকে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে একজন ক্রেতা সর্বনিম্ন ৫ কেজি কিনতে হবে। তবে এ সময়ের পর এক কেজি করে কিনতে পারবেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- গত বছর জেলায় ১৯ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। যা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৩ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছরে জেলায় ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হবে। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ২১৫ মেট্রিক টন। গত বছর ৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি থেকে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ৫৭ হাজার ২৫৭ মেট্রিক টন। এ বছরে পেঁয়াজের আবাদ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৯০ হেক্টর। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন। এছাড়া গত বছর ৮২০ হেক্টর জমি থেকে রসুনের উৎপাদন হয়েছিল ৭ হাজার ৬২৬ মেট্রিক টন। এ বছর রসুনের আবাদের পরিমাণ ৭৮০ হেক্টর ধরা হয়েছে। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২০ মেট্রিক টন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে অতিবৃষ্টি হয়। এ কারণে আগাম জাতের আলু ও পেঁয়াজ রোপণে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় বাজারে আসতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া মৌসুমের শেষ সময় আলু ও পেঁয়াজ রোপণ করা হচ্ছে। এ কারণে বেড়েছে এ দুই পণ্যের দাম। গত বছর চাষিরা আলুর আবাদ কমিয়ে সরিষার আবাদ করেছিল। আলুর আবাদ কম হওয়ায় এবার দাম বেশি হয়েছে। নওগাঁ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন- গত বছর আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়। এ কারণে মৌসুমের শেষ সময় এসে দাম বেড়েছে। তবে চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।