জুড়ীতে সেতু ভেঙে জনদুর্ভোগ

জুড়ীতে বেইলি সেতু ভেঙে যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে লাঠিটিলাসহ বহু এলাকার সাথে। গত সোমবার রাতে উপজেলার জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কের উত্তর ভবানীপুর ডাকবাংলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে শিক্ষার্থীসহ দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো পথচারী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালবোঝাই ট্রাকটি (ডাইভারশন) বেইলি সেতু অতিক্রম করার সময় স্টিলের পাটাতন ছুটে ব্রিজটি ভেঙে নিচে পড়ে যায়, তাৎক্ষণিক ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এরপর ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সড়কে উপজেলার পশ্চিম জুড়ী, পূর্ব জুড়ী, সাগরনাল, গোয়ালবাড়ী ও ফুলতলা ইউনিয়নের লোকজন চলাচল করেন। এছাড়া তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ও হাজী আপ্তাব উদ্দিন আমেনা খাতুন কলেজসহ একাদিক স্কুলের শিক্ষার্থীরাও সেতুটি দিয়ে আসা-যাওয়া করেন।

ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় আব্দুর রউফ বলেন, রাত আড়াইটার দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে। ভাঙার সময় তিনটি গাড়ির মধ্যে দুটো গাড়ি পার হলে তৃতীয় গাড়ি যখন সেতু অতিক্রম করবে, তখনি এটি ভেঙে যায়। জুড়ী থেকে লাঠিটিলা রোডের সিএনজিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, বাজারে প্রবেশের একমাত্র সড়ক হওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়েছি। কোনো কোনো গাড়ি দের কিলোমিটার ঘুরে একটি গ্রামের রাস্তা দিয়ে আসছে বাজারে, এতে ভাড়াও বেড়েছে। প্রকল্পটির সাব ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের নির্মাণকাজ চলছে, বেইলি সেতুটি দেওয়া হয়েছে সাধারণত মানুষ চলালচের জন্য। আমাদের সাইনবোর্ডে লেখা আছে ৫ টনের অধিক ভারি যানবাহন চলাচল নিষেধ। এই গাড়ি আইন অমান্য করে প্রায় ৪০ টনের অধিক ভারি লোড বহন করায় বেইলি সেতুটি ভেঙে গেছে। আমরা গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করব। সাধারণ মানুষ চলালচের জন্য প্রাথমিকভাবে বিকল্প রাস্তা করে দেওয়া চেষ্টা করছি। গাড়িটি মালিক পক্ষ সরিয়ে নিলে আমরা দ্রুত যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করব।