কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে বাজারজাতকরণের দাবি

হরতাল-অবরোধে কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে বাজারজাতকরণের দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। গতকাল দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করে কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে বাজারজাতকরণের দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ও জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ ওরফে কুল ময়েজ বলেন, কৃষিপ্রধান ও কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে হরতাল-অবরোধ করে কৃষিপণ্য তথা কৃষককে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। ২০১৪ সালে টানা হরতাল-অবরোধ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি খাত। পরে দুই বছর করোনার প্রভারের চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে কৃষি খাত। বর্তমান সরকারের নানামুখি পদক্ষেপে কৃষি খাতকে ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকরা কঠোর পরিশ্রম করছে। কৃষকদের ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ দেওয়া হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, এনজিও এর সুদসহ ঋণের কিস্তি দিতে আজ কৃষক সমাজ হিমসিম খাচ্ছে। ঠিক সেসময়ে হরতাল আর অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক জোট। এতে কৃষি পণ্যের বাজারজাতকারণের সমস্যা হয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কৃষক সমাজ। শুধুমাত্র ঈশ্বরদীতেই প্রতিদিন ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম করে কৃষক ও কৃষিপণ্যকে জিম্মি করে রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় যায়, তারা লাভবান হয়। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। হরতাল অবরোধে কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেওয়া না হলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিবে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের কোটি কোটি কৃষক। যার প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের সঞ্চালনায় জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক জাহিদুর রহমান জাহিদ, জাতীয় পদকপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান হাবিব, পদকপ্রাপ্ত বেলী বেগম, রেজাউল করিম রেজা, শাহিনুজ্জামান, খোরশেদ আলমসহ শত শত কৃষক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।