ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দারিদ্র্য দূর করতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ভূমিকা রাখছে

বললেন খাদ্যমন্ত্রী
দারিদ্র্য দূর করতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ভূমিকা রাখছে

বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিসর অনেক বাড়িয়েছে। এ কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল নওগাঁর পোরশায় নিতপুর ডাকবাংলো মাঠে নিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানারকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ছাড়াও বয়স্ক ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা, বিধবা, দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ভাতা রয়েছে। এছাড়াও কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে কৃষক। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের মোবাইলে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ বাড়ি দিচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বিরল। সরকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, হোটেলের কর্মচারী, ড্রাইভারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে করোনাকালে সহায়তা দিয়েছে। কেউ বাদ যায়নি। বিএনপির সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচন করতে চায় না। জ্বালাও-পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আন্দোলনের নামে তারা পুলিশ হত্যা করেছে। এ সময় তিনি সন্ত্রাসীদল বিএনপিকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানান। খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, গরিব মানুষের আশ্রয়স্থল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে উপকারভোগীদের প্রতি আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক এর সভাপতিত্বে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, চিকিৎসা ও শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তাসহ বিভিন্ন উপকারভোগীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত