বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে দ্বিতীয় দিনেও কোনো প্রভাব পড়েনি দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে। গতকাল সকাল থেকেই ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য বন্দরের শেডে লোড-আনলোড করছেন শ্রমিকরা। কাস্টমস, ব্যাংক, বীমা অফিসেও কাজ হচ্ছে আগের মতো। অবরোধের পক্ষে বেনাপোল ও শার্শায় কোনো পিকেটারকে রাস্তায় দেখা যায়নি। তবে অবরোধের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল র্যালি করতে দেখা যায়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজি বলেন, অবরোধের মধ্যে বন্দর থেকে অনেক ট্রাকে মালামাল লোড হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে এসব পণ্য বোঝাই ট্রাক বন্দর ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের অবরোধ শুরু হলেও পেট্রোপোল-বেনাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি চালু রয়েছে। অবরোধের মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক রপ্তানি করা পণ্য নিয়ে বন্দরে এসেছে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল ইসলাম বলেন, বিরোধীদলের ডাকা অবরোধে বেনাপোল বন্দরে কোনো প্রভাব পড়ছে না। অবরোধের মধ্যে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারও স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল সকাল ১১টা পর্যন্ত ২০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। ৭ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। বেনাপোল শুল্ক ভবনের যুগ্ম কমিশনার মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে শুল্কায়নের কাজ যথা নিয়মে চলেছে আমদানি রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে ও সব ধরনের কাজ কার্যক্রম চালু আছে।
