ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রতিদিন ঘেরে ছিটানো হয় ৬০০ কেজি চালের ভাত

প্রতিদিন ঘেরে ছিটানো হয় ৬০০ কেজি চালের ভাত

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা বিল হরিণায় রাস্তার পাশে বড় একটি ঘেরে প্রতিদিন ৬০০ কেজি চালের ভাত রান্না করে ছিটানো হয়। চাষ করা মাছের খাবার হিসেবে প্রতিদিন তিনবেলায় মোট ৬০০ কেজি চালের ভাত রান্না করে ঘেরে ছিটানো হয়। যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৮০ থেকে ১০০ বিঘা পরিমাণের ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করছেন খামারিরা। এসব ঘেরে রুই, কাতলা, সিলভার কাপ, গ্লাসকাপ, মৃগেল, তেলাপিয়া, সরপুটিসহ বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ হয়। গত কয়েক বছর ধরে এসব ঘেরে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভাত। ভাতের সঙ্গে দেওয়া হয় গমের ভূসি। একেকটি ঘেরে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৬০০ কেজি চালের ভাত রান্না করে মাছকে খেতে দেওয়া হয়। খামারিদের দাবি ভাত খাওয়ালে উৎপাদন খরচ কম লাগে। সেইসঙ্গে অল্প সময়ে মাছের উৎপাদনও বেশি হয়। এজন্য তারা মাছকে ভাত খাওয়াচ্ছেন। তারা আরো দাবি করেন যে চাল তারা ব্যবহার করছেন তা মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয়। মনিরামপুরের দুর্বাডাঙ্গা গ্রামের মৎস্য খামারি উত্তম অধিকারী বলেন, আমার ৯০ বিঘা মাছের ঘের। এ ঘেরে সব ধরনের সাদা মাছ রয়েছে। প্রতি এ ঘেরের জন্য ৬০০ কেজি করে চালের ভাত রান্না করা হয়। এরপর নৌকায় করে ঘেরের বিভিন্ন প্রান্তে ভাত ছিটিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমরা যে চাল মাছকে খাওয়াই সেটি মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয়। হরিণা গ্রামের আমিনুর রহমান নামে আরেক মৎস্য খামারি বলেন, আমার ১০০ বিঘার ঘের। আমার প্রতি বেলায় ২০০ কেজি করে চালের ভাত রান্না করা লাগে। তিন বেলায় ৬০০ কেজি চালের ভাত রান্না করে ঘেরে ছিটাতে হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত