বাজার নিয়ন্ত্রণে জয়পুরহাটে খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার ১৯টি হিমাগারের মালিক ও ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনোয়ার পারভেজ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন, কৃষি বিভাগের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হক ও জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা রতন কুমারসহ অন্যান্যরা। জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী জানান, এখন থেকে জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রতিদিন খোলা বাজারে তিন টন করে মোট ১৫ টন আলু বিক্রি করা হবে। পাঁচটি পয়েন্টে সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু পাওয়া যাবে। প্রতি পরিবার বা ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে আলু কিনতে পারবেন। আলোচনা সভায় আলু সিন্ডিকেট বন্ধে আগামী মৌসুম থেকে রেজিস্টার মেনে খাবার ও বীজ আলু আলাদাভাবে সংরক্ষণ ও বিপণন করার জন্য হিমাগার মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে, বাজারে আলুর দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত বুধবার সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে প্রতিটি হিমাগারে সরকারের একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে সরকার নির্ধারিত খুচরা ৩৫ থেকে ৩৬ এবং পাইকারি ২৬ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
