ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেশবপুরে শিম চাষে ব্যাপক সাফল্য

কেশবপুরে শিম চাষে ব্যাপক সাফল্য

যশোরের কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসের প্রযুক্তিগত সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষি জমিতে ও ঘেরের পাড়ে শিম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে সবজি চাষিরা। বেশি দাম পাওয়ায় শিম চাষে আগ্রহী কৃষকরা। শিম শীতকালিন সবজি হলেও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তা এখন ১২ মাসেই চাষ করছেন কৃষকরা। আর এতে লাভবানও হচ্ছে বেশি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় চাষিরা দ্বিগুনেরও বেশি লাভ পাচ্ছে ফসলে। ফলে প্রতি বছর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলজুড়ে শিমের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার উঁচু এলাকা সবজি চাষের উপযোগী হলেও এসব এলাকার পাশাপাশি নিচু এলাকাতেও হচ্ছে শিম-এর চাষ। নিচু এলাকায় মাছের ঘেরের পানিতে মাছ চাষ আর ঘেরের পাড়ে করছে শিম চাষ। উপজেলার সুফলাকাটি ও গৌরীঘোনা ইউনিয়ন দুটি ভবদহ এলাকা সংলগ্ন হওয়ায় বছরের বেশির ভাগ সময় ধরে ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ বিল এলাকা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে জীবিকা অর্জনের একমাত্র অবলম্বন হিসাবে মাছ চাষ শুরু করেন তারা। আর সেই ঘেরের পাড়ে শিম চাষ করে স্বপ্ন দেখছে সাবলম্বী হওয়ার। প্রতি মণ শিমের বর্তমান বাজার মূল্য ৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। যা কখনো কখনো আরো বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। এখন শিম চাষ করে প্রতি বছর কোটি টাকা আয় করছে কেশবপুরের সবজি চাষিরা। ভালুকঘর গ্রামের শিম চাষি আবদুস সামাদ বলেন, শিম একটি লাভজনক ফসল। আমি এক বিঘা জমিতে শিম আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবছর তিনি এক বিঘা জমি থেকে খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, কেশবপুরে গত বছর শিম আবাদ হয়েছিল ১৩০ হেক্টর জমিতে। এবছর কৃষকরা ১৩২ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত