সাঁথিয়ায় পানি নিষ্কাশন খালে সুতি জালের বাঁধ

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার সাঁথিয়ায় কাগেশ্বরী নদী ও পাউবোর পানি নিষ্কাশন খালে চার থেকে পাঁচটি স্থানে অবৈধভাবে বাঁশের বেড়া, পলিথিন ও সুতিজারের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করায় বিলের পানি প্রবাহের গতিকে বাধা সৃষ্টি করছে। ফলে বিলের পানি বের হচ্ছে মন্থরগতিতে। ফলে কৃষকের বীজতলা তৈরিসহ রবি মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, শরিষার আবাদ ব্যাহত হওয়ায় আশঙ্কা করছেন এলাকার কৃষকরা। জানা যায়, বেড়া উপজেলার কৈটোলা পাম্প হাউজ থেকে মুক্তর বিল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাকেশ্বরী নদীর-ডি-২ সেচখালের প্রায় ৩০ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন ক্যানাল রয়েছে। এ ক্যানাল দিয়ে বর্ষা শেষে সাঁথিয়া-বেড়ার প্রায় ১৬টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। সুতিজালের বাঁধের জন্য পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কমছে না, এ সকল বিলের পানি। কাগেশ্বরী নদীর-ডি-২ পানি নিষ্কাশন সেচ খালটির ওপর উপজেলার করমজা ইউনিয়নের শামুকজানি বাজারের দক্ষিণে রাহেদ খার বাড়ির সঙ্গে ও বড়গ্রাম দত্তপাড়া, সৈয়দপুর পরপর চার থেকে পাঁচটি স্থানে বাঁশের বেড়া ও সুতিজাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে ছোট-বড় সব ধরনের মাছসহ জলজপ্রাণী বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তবে সুতি পরিচালনা করা ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কৃষকরা প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। সরেজমিন শনিবার সকালে শামুকজানি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কাগেশ্বরী নদীতে রাহেদ খাঁ-এর বাড়ির সামনে বাঁশ জালের বেড়া দিয়ে পানির গতি কমিয়ে মাছ শিকার করছেন। এই সুতি পরিচালনা করেন স্থানীয় প্রভাবশালী রওশন সরদার, অহেদ খাঁ, মালেক, রমজান খাঁ, রাহেদ খাঁ। তার একটু সামনের সুতি পরিচালনা করেন বড় গ্রামের সুবাহান। কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে তারা অভিযোগে বলেন, ফসল যথাসময়ে বপণ করতে না পারলে তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। চলতি আমন মৌসুমে জমিতে ধান পাকতে শুরু হয়েছে। অনেকের ধান পেঁকে যাওয়ায় ধান কাটতে শুরু করেছে। জমিতে অতিরিক্ত পানি থাকায় যথা সময়ে ধান কাটতে না পারলে জমিতে থাকা পাকা ধান পানিতে নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।

তারা আরো জানান, কাগেশ্বরী নদীর এই খাল দিয়ে উপজেলার বড়গ্রাম মৌজা, গোপিনাথপুর ও ঘুঘুদহ মৌজার আইরেদহের বিল, টেঙরাগাড়ির বিল, ঘুঘুদহ বড় ও ছোট বিল, মুক্তর বিল, সোনাই বিল, খোলসা খালি বিল, কাটিয়াদহ বিল ও গাঙভাঙ্গার বিলসহ অন্তÍত ১৬টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্ত পানি নিষ্কাশন সেচ খালটির ওপর সুতিজালের বাধ দেয়ায় পানিপ্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত সকল সুতিজাল উচ্ছেদ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান কৃষকরা।