ধানখেতে বাদামি গাছফড়িংয়ের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. তাসলিম কবির বাবু, শ্রীবরদী (শেরপুর)

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বাদামি গাছফড়িংয়ের আক্রমণে ধানখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ফড়িংয়ের আক্রমণে অল্প সময়ের মধ্যে ধানখেত ঝলসে গেছে। ফড়িং দমনে কীটনাশক ছিটানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। উপজেলার রানিশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মালাকোচা, বিলভরটসহ বিভিন্ন গ্রামের অনেক কৃষকের ধানখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাধ্য হয়ে ঝলসে যাওয়া ধানগাছ কেটে ফেলছেন কৃষকরা। আবাদকৃত ধান ঘরে তুলতে না পেরে পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভুক্তভোগী কৃষক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পোকার আক্রমণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরেজমিন গেলে উঠে আসে এমন চিত্র। এলাকার কৃষক সূত্রে জানা যায়, কায়েক দিন আগে থেকে হঠাৎ করে ধানখেতে বাদামি গাছফড়িং (কারেন্ট পোকা) আক্রমণ করে। আক্রমণের ২-৩ দিনের মধ্যে ধানগাছ ঝলসে গিয়ে পুরো ধানখেত বিনষ্ট হয়ে যায়। কৃষকদের অভিযোগ কৃষি অফিস থেকে তাদের কোনো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না। হঠাৎ এই পরিস্থিতিতে পড়ে ধান পাকার আগেই অনেক কৃষক তা কেটে ফেলছে। মালাকোচা গ্রামের কৃষক ময়দান আলী বলেন, বাদামি গাছফড়িংয়ের আক্রমণে আমার প্রায় ৩ একর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কোনো পরামর্শ পাইনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ধান চাষ করি, কিন্তু কোনো সময় কৃষি প্রণোদনা পেলাম না। বাবুল মিয়া বলেন, আমার ৭০ শতাংশ জমিতে হঠাৎ ওই পোকা আক্রমণ করেছে। বিষ দিয়েছি। কিন্তু ফসল অনেক কম হবে। ধান কাটা শ্রমিক শফিকুল ইসলাম বলেন, বাদামি গাছফড়িং আক্রমণ করায় ধান পাকার আগেই কাটা হচ্ছে। তাই ফলন অনেক কম হবে। একই গ্রামের কৃষানি মোছা. কোকোলা বেগম বলেন, আমি ২ একর জমিতে ধান আবাদ করি। কিন্তু কোনো সময় সরকারি সহযোগিতা পাই না। উপজেলা কৃষি অফিসার সাবরিনা আফরিন বলেন, কিছু কিছু এলাকায় বাদামি গাছফড়িংয়ের আক্রমণে কৃষকদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি।