দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যের

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

সরকার আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন খবরে এই পণ্যের দাম কমেনি। চাল ও আটার দাম দুই সপ্তাহ আগেই বেড়েছে। আবার চিনি আমদানিতে শুল্ক অর্ধেক কামানোর পর পাইকারি বাজারে চিনির দাম উল্টো বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়ার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত আছে। অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে মুগ ডালের দামও এই সপ্তাহে বেড়েছে। তবে সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমতির দিকে। গত শুক্রবার পাইকারি চিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারি বাজারে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত তিন দিন এ বাজারে খোলা চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে চার টাকা। পাইকারি বাজারে চিনির দাম এখন ১৩০ টাকা। শ্যামনগর বাজারের মুদি দোকানি অধীর বলেন, মিল থেকে বাজারে চিনির সরবরাহ কমেছে। ফলে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। সরকার শুল্ক কমানোয় আমরা ভেবেছিলাম চিনির দাম কিছুটা কমতে পারে; কিন্তু উল্টো দাম বাড়ছে। তবে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে, ফলে দাম কিছুটা কমতির দিকে। কয়েকদিন আগেও অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ৮০ টাকার ওপরে থাকলেও এখন কয়েকটির দাম কমেছে। বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরেক দফা বেড়েছে। প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আলুর দাম আগেই বেড়েছে এবং তা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের গোড়ার দিকেই মোটা ও মাঝারি মানের চলের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে বাজারে এসেছে বাড়তি দামের আটার প্যাকেট। দুই কেজির এই প্যাকেটের দাম ১২০ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ টাকা। এদিকে মসুর ডালের মূল্যবৃদ্ধির পর নতুন করে দাম বেড়েছে মুগ ডালের। ১০০ টাকা কেজির মুগ ডাল এখন ১৩০ টাকা মানভেদে আরো বেশি দামের ডালও বাজারে আছে।