ধামরাইয়ে শিশু দিয়ে পুকুর পরিষ্কার

প্রতিবাদ করায় মা কে মারধর

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শওকত হোসেন সৈকত, ধামরাই

ঢাকার ধামরাইয়ে নাবালক শিশু দিয়ে পুকুর পরিষ্কার করার প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশী এক মহিলাকে কিল-ঘুষিসহ লাঞ্ছিত করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ব্যাক্তি ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের রুঘুনাথপুর টেকনিক্যাল বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম। সরেজমিন জানা যায়, গত মাসের ২৯ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের কালিদাসপট্টি গ্রামে নজরুল ইসলামের নিজ বাড়িতে। ভুক্তভোগী ইছমত আরা বেগম জানান, আমার ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে, অথচ নজরুল মাস্টার আমার ছেলেকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তার পুকুর পরিষ্কার করার চেষ্টা করে, আমি আমার ছেলেকে সেই পুকুর পরিষ্কার করতে নিষেধ করলে নজর আমী (নজরুল ইসলাম) মাস্টার আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এরপর আমি তার প্রতিবাদ করে আমার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছিলাম, তখন আমার পথ আটকে দাঁড়ায় নজরুল। এক পর্যায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে উভয়। পরে নজরুল ইসলাম বাড়ি থেকে কাঠের লাঠি এনে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে মারধর করে। এ সময় আমার পড়নের কাপড় ধরেও টানাহেঁচড়া করে। মারধরের এক পর্যায় আমার মা সালেহা বেগম ও শাশুড়ি রাবেয়া বেগম এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে নজরুল ইসলাম চলে যায়। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার পুকুর পরিষ্কার করার জন্য অন্য লোক ঠিক করছিলাম, সে সময় ওরা চারজন ২ হাজার টাকার বিনিময়ে আমার পুকুর পরিষ্কার করে দিবে বললে আমি রাজি হই।

কথা মতো ওরা সকালে পুকুর পরিষ্কার করতে শুরু করে। হঠাৎ রিয়াদের মা এসে পুকুর থেকে রিয়াদকে নিয়ে যায়, তখন আমি কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে আমার সঙ্গে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে, পরে আমি রাগে রিয়াদের মাকে একটি চড় মারি, তার বাড়ি গিয়ে আমি মারধর করি নাই।

আর বিষয়টি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেছেন মীমাংসা করে দিবে। এ ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি, চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বলেছে বিষয়টি সে মীমাংসা করে দিবে, তা না হলে মামলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।