ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জালে মিলছে কাঙ্ক্ষিত মাছ

দেনা পরিশোধের আশায় জেলেরা
জালে মিলছে কাঙ্ক্ষিত মাছ

মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। জালে মিলছে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ, পাঙাশ ও পোয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। এভাবে জালে মাছ পেলে নিষেধাজ্ঞার সময় যে ধারদেনা হয়েছে তা পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছেন জেলেরা। ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতলি এলাকার মেঘনা নদীর জেলে মো. নুরু আলম মাঝি, তৈয়ব মাঝি, হাসান মাঝি জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে তারা নদীতে গিয়ে আশানুরূপ মাছ পাচ্ছেন। জালে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ, পাঙাস, পোয়াসহ নানা জাতের মাছ উঠছে। এতে তারা অনেক খুশি। গত শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন মৎস্যঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দলবেঁধে ছুটে যাচ্ছেন। অনেকে নদী থেকে মাছসহ হাসিমুখে ঘাটেও ফিরছেন। ঘাটে সেই মাছ বিক্রি করে আবারও জাল ফেলতে যাচ্ছেন নদীতে। শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল এলাকার মেঘনা নদীর জেলে মো. আনোয়ার মাঝি, স্বপন মাঝি ও সিদ্দিক মাঝি জানান, তারা নিষেধাজ্ঞার পরে পৃথকভাবে চার-পাঁচজন মাঝি নিয়ে নদীতে গিয়ে প্রতিদিনই ভালো পরিমাণ ইলিশ, পাঙাশ ও পোয়া মাছ পাচ্ছেন। প্রতিদিনই তারা ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পারছেন। ভেদুরিয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর জেলে মো. আকবর মাঝি, সোহেল মাঝি ও মাসুদ মাঝি জানান, বর্তমানে যে পরিমাণ ইলিশ ও পাঙাশসহ বিভিন্ন মাছ তারা নদীতে গিয়ে পাচ্ছেন এটি যদি আরও ৫ থেকে ৬ দিন পাওয়া যায়, তাহলে নিষেধাজ্ঞার সময়ের ধারদেনা পরিশোধ হয়ে যাবে। তুলাতুলি মৎস্যঘাটের আড়তদার মো. আব্দুল খালেক জানান, নিষেধাজ্ঞার পর জেলেরা নদীতে গিয়ে ইলিশের পাশাপাশি ৫ থেকে ১২ কেজি ওজনের পাঙাশ পাচ্ছেন। এতে আমাদের ঘাটে বেচা-বিক্রি জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা এসে মাছ কিনছেন। তবে ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ঢাকা, বরিশাল, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন পাইকারি আড়তে মাছ পাঠানোর চাহিদা থাকায় দাম একটু বেশি। কয়েকদিন পর দাম আরেকটু কমবে। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কামাল আজাদ জানান, জেলেরা বর্তমানে যে পরিমাণ মাছ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে পাচ্ছেন তাতে তারা খুশি। তবে আগামী কয়েক দিন পর নদীতে আরো বেশি ইলিশ, পাঙাশ ও পোয়াসহ বিভিন্ন মাছ পাওয়া যেতে পারে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা যে ধারদেনা করেছেন এবার তা পরিশোধ করে আগামী দিনগুলোর জন্য সঞ্চয়ও করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত