উপরে শিম চাষ নিচে মাছ

স্বাবলম্বী দেড় হাজার কৃষক

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

যশোরের কেশবপুরে ঘেরে মৎস্য চাষের সঙ্গে শিম চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার পরিবার। কেশবপুর বাজার থেকে ভরতভায়না পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কের দু’পাশে দেখা মেলে শিমগাছের। এই গাছের মাচার আড়ালে দেখা যায় ছোট-বড় জলাশয়। সেই জলাশয়ের পাড় ঘেঁষে এখন শুধু শিমগাছের লতা। সড়কের দুই পাশে যতদূর চোখ যায় ততদূর সারি সারি শিমগাছের সমারোহ। সন্যাসগাছা গ্রামের কৃষক আফসার সরদার বলেন, শিমগাছগুলোর এই সময়ে একটু পরিচর্যা প্রয়োজন হয়। বাজারে শিমের বেশ দাম। জলাশয়ের পাশে ৩০০ মান্দা শিমগাছ লাগিয়েছি। গত দিন প্রতি কেজি শিম বিক্রি করেছি ৮৩ টাকা কেজি দরে। সেদিন খেত থেকে ১৩ কেজি শিম তুলেছি। তিনি আরো বলেন, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি শিম বিক্রি করেছিলাম ১১০ টাকা কেজি দরে। আস্তে আস্তে বাজারে শীতকালীন সবজি উঠছে, আর দামও কমছে। গত মাসে বৃষ্টির আগে এই শিমই বিক্রি করেছি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে। সেই সময় খেত থেকে সর্বোচ্চ ৩২ কেজি শিম তুলেছি। এ উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নে মোট বাসিন্দা প্রায় ৩৫০০। এর মধ্যে শিম ও মাছ চাষ করেন প্রায় দেড় হাজার কৃষক। এ ইউনিয়নের ভরতভায়না, সন্যাসগাছা, ভেরচি, বুড়লি প্রভৃতি গ্রামে বেশিরভাগ মানুষই জলাশয়ে (ছোট-বড় ঘের) মাছ চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে শিমের আবাদ করে থাকেন। দু’একবার কীটপতঙ্গ আক্রমণ করলেও সম্প্রতি সময়ে লাভের মুখ দেখেছেন কৃষকেরা। গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আফজাল হোসেন বলেন, গৌরীঘোনা, সুফলাকাটি, মঙ্গলকোট প্রভৃতি ইউনিয়নের মানুষ ঘেরের সঙ্গে সবজি চাষ করে থাকেন। আমাদের এই অঞ্চলে যেমন মাছের উৎপাদন ভালো তেমন সবজিও। এখানে বর্তমানে শিম চাষ বেশি হচ্ছে। এছাড়া লাউ, পালংশাক, কুমড়ো, টমেটোরও আবাদ হয়। কেশবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রিমা আক্তারের বলেন, গোটা যশোর জেলা সবজি চাষে এগিয়ে। তেমন কেশবপুরেও বেশি সবজি চাষ হয়। আগাম সবজি হিসেবে গৌরীঘোনা ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন এগিয়ে। এখানে বর্তমানে বেশ শিম চাষ হচ্ছে।