চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলু পেঁয়াজের দাম কমেছে

ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানির ধাক্কায় গত দুদিনের ব্যবধানে প্রভাব পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় বাজারে। প্রতি কেজিতে আলুর দাম ১৫ টাকা ও পেঁয়াজে ৩০ টাকা কমেছে। গতকাল সকালে পুরাতন বাজারে পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচায় এ চিত্র দেখা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে দেশি আলুর দাম কেজি প্রতি ১২-১৫ টাকা কমে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারত থেকে আমদানি করা আলু ৩৬-৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পেঁয়াজের দামও কেজিতে অনন্ত ২৫ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা জহরুল ইসলাম জানান, ভারতীয় আলু আমদানির দুদিন আগেও আড়তে দেশি আলু ছিল ৫০ টাকা কেজি। এখন তা ১০ টাকা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকায়। খুচরা আলু বিক্রেতা মামুন জানান, আমি দেশি আলু কেজিতে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি করছি। আর ভারতীয় আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ টাকা কেজি। পেয়াঁজের খুচরো বিক্রেতা মনিরুল জানান, আমি দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা আনারুল ইসলাম জানান, চারদিন আগেও ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৯০-৯৫ টাকা কেজি। এখন তা কমে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আলু ও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে আলুর দাম আরো কমে কেজি প্রতি অন্তত ৩০ টাকা হবে। অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম আরো কিছুটা কমতে পারে। তবে ভারত থেকে আসা আলুর বস্তায় ছোট ও কাটা আলু থাকায় কিছুটা অসন্তোষ আছে ব্যবসায়ীদের। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, গত শুক্র ও শনিবার দুদিনে ভারত থেকে ২১টি ট্রাকে ৫৬৮ টন আলু এসেছে। এ ছাড়াও গত শনিবার এ বন্দর দিয়ে ৫১টি ট্রাকে ১ হাজার ৪৫৩ টন পেঁয়াজও আমদানি হয়েছে।