হুমকির মুখে একাধিক বসতবাড়ি

তিতাস নদী খননে ধসে পড়ছে রাস্তা

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. তাজুল ইসলাম, তিতাস (কুমিল্লা)

কুমিল্লার তিতাসে নদী খননের ফলে ধসে পড়ছে এলজিইডির তালিকাভুক্ত গ্রামীণ রাস্তা। হুমকির মুখে রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি। বাঁশ ও বেড়া দিয়ে রাস্তাটি ঠিক রাখার চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মজিদপুর কান্দাপাড়া থেকে তিতাস নদীর পাড় ঘেষে এলজিইডির দেড় কিলোমিটারের রাস্তাটি মৌটুপী গিয়ে শেষ হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করায় নদীর পাড়ের রাস্তাটি ভেঙে পুনরায় নদী ভরাট হচ্ছে। রাস্তার পাশে থাকা একাধিক বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। খনন কাজের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বাঁশ ও তরজার বেড়া দিয়ে রাস্তাটি ঠিক রাখার চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত তা ভেঙে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তিতাস নদীর দ্বিতীয় পর্যায়ের খনন কাজ গত জানুয়ারি মাস থেকে চলমান রয়েছে। মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, এলাকার লোকজন আমাকে বিষয়টি অবগত করেছে।

আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। এখন শুধু মজিদপুর থেকে মৌটুপী সড়কটি ভেঙে গেছে। নদীতে আরেকটু পানি কমে গেলে কড়িকান্দি বাজার থেকে মজিদপুরের যে রাস্তাটি রয়েছে সেটিও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ১৫ ফুট নদী খননের জায়গায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট খনন করা হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী সাহিদুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি এলজিইডির তালিকাভুক্ত। বিষয়টি আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে লিখিতভাবে জানাব। ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সংস্কার করে দিতে হবে। গ্রামীণ উন্নয়নের একেকটি রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত করতে সরকারকে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম মোর্শেদ জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে অবগত করেছে। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. সেলিম আহমেদ বলেন, এসিল্যান্ড বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন খান বলেন, নদীর পানি কমে যাওয়ায় রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে ওই অংশে নদী খননের কাজ বন্ধ রয়েছে। রাস্তাটি সংস্কারে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তবে আমাদের ডিজাইনে যা আছে, আমরা সেই অনুযায়ী খনন করছি। বেশি খনন করার প্রশ্নই ওঠে না।