জয়পুরহাটে আমন ধান কাটা শুরু

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

জয়পুরহাটে এখন রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম চলছে। বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকরাও খুশি। আগে থেকেই আগাম জাতের রোপা আমন ধান টুকটাক কাটা শুরু হলেও পুরো কাটা-মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। নিশ্চিন্তে স্বপ্নের ফসল রোপা আমন ধান ঘরে তোলার আনন্দ উপভোগ করছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। জেলার মাঠঘাটজুড়ে সোনালী বর্ণ ধারণ করা আমন ধানের নয়নাভিরাম দৃশ্য এখন চোখ পড়ার মতো। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় এবার রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। জেলায় চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। যার মধ্যে ছিল উচ্চ ফলনশীল জাতের ৬১ হাজার ৮৬২ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের এক হাজার ৪২৮ হেক্টর। এতে ২ লাখ ২১ হাজার ২৩৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলাভিত্তিক রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ছিল জয়পুরহাট সদরে ১৬ হাজার ৯৯৫ হেক্টর, পাঁচবিবি উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৫৫ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১০ হাজার ৬৪৩ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ১০ হাজার ৭৪০ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ১১ হাজার ৯১৭ হেক্টর। জেলায় রোপা আমন চাষ সফল করতে কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৪১১ হেক্টর জমিতে এবার বীজতলা তৈরি করা হয়। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে রোপা আমন চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগেই আগাম জাতের কিছু ধান বিশেষ করে আতব, ১৭ ও ৭৫ জাতের আমন ধান টুকটাক কাটা শুরু হলেও এখন পুরো কাটা-মাড়াই চলছে। অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কৃষকরা আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন বলে জানায় কৃষি বিভাগ। সদর উপজেলার ভেটি গ্রামের কৃষক হারুনুর রশিদ বলেন, জমিতে থাকা আমন ধানের বাম্পার ফলন দেখে ঘাম ঝড়ানো কষ্ট ভুলে গেছি। পাশের সোটাহার গ্রামের আশরাফ আলী জানান, এবার ৫ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন ফলনও বাম্পার হয়েছে এতে খুশি বলে জানান তিনি। কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় আমন ধান চাষ সফল করতে স্থানীয় বিএডিসি (বীজ) কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করে। প্রথম দিকে বৃষ্টিপাতের কিছুটা সমস্যা থাকলেও পরে আশানুরূপ বৃষ্টিপাতের ফলে রোপা আমনের চারা রোপণে আর কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।