মেঘনায় ইলিশের জালে মিলছে বড় আকারের কাতল

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শওকত আলী, চাঁদপুর

চাঁদপুর নৌ-সীমানার পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশের জালে এবার বড় আকারের কাতল মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মেঘনা নদীর চাঁদপুর সদর উপজেলার আনন্দবাজার, রাজরাজেশ্বর চর, তারাবুনিয়া, হরিনা, চিড়ার, আলুর বাজার, ইশানবালা ও চর ভৈরবি এলাকায় জেলেদের জালে বড় আকারের কাতল মাছ ধরা পড়েছে।

নদীতে পাওয়া প্রতিটি কাতল মাছের ওজন প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর গত কয়েকদিন ধরে ইলিশের পরিবর্তে পাওয়া গেছে বড় ধরনের পাঙাশ মাছ। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার সময় চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধের অদূরে মেঘনা নদীতে তরপুরচন্ডি এলাকার জেলে ইসমাইলের জালে চারটি কাতল মাছ ধরা পড়ে।

মাছগুলো দুপুরে বিক্রির জন্য চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে আনলে এক নজর দেখতে ভিড় করে স্থানীয় ক্রেতারা। মেসার্স আবুল খায়ের মৎস্য আড়তে মুহূর্তের মধ্যে নিলাম হয়। এ সময় ৩৫ হাজার টাকা মণ দরে প্রায় ৩৯ কেজি ওজনের কাতল মাছ বিক্রি হয়। নৌ-ঘাটের আড়তদার ইউসুফ বন্দুকশী জানান, গতকাল সকালে এই ঘাটের জেলেরা মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার জন্য জাল ফেলেন।

তাদের জালে পৃথক পৃথকভাবে প্রচুর পরিমাণে বড় সাইজের কাতল মাছ ধরা পড়ে। জেলে ইসমাইল জানান, নদীতে ২২ দিনের অভিযানের পর তাদের ব্যবহৃত ইলিশের জালে মাঝেমধ্যে পাঙাশ, আইড়, রুই-কাতল ও রিডা মাছ ধরা পড়ে। এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে ইলিশের পাশাপাশি বেশ কিছু পাঙাশ-আইড় মাছের পর এবার প্রচুর কাতল মাছও পাওয়া যাচ্ছে। হাজী আবুল খায়ের গাজী মৎস্য আড়তের কয়েকজন জানান, এসব মাছ ঘাটে এলে প্রতিযোগিতা মূলকভাবে ঘাটের বড় আড়তদাররা কিনে নেন। স্থানীয়ভাবে এসব মাছের ক্রেতা কম।

বিক্রি করতে হলে কেটে ভাগ করে বিক্রি করতে হবে। তাই ঢাকা, চট্টগ্রাম বা অন্য কোনো স্থানের বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিক্রি করা হয়েছ বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, এ বছর ইলিশ অভিযান সফল হওয়ায় মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রকম বড় বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ বিচরণের সুযোগ পাওয়ায় জেলেরা মাছ ধরে সুফল পাচ্ছে এবং বেশি অর্থ উপার্যন করতে পাচ্ছে।