হাজীগঞ্জে নিখোঁজ মিশুক চালকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর মো. আরমান হোসেন নামে এক কিশোরের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দোয়ালিয়া পূর্বপাড়া আমগাছ তলা নামক স্থানে সড়কের পাশে বালুর স্তূপের নিচ থেকে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরে মিশুক (অটোরিকশা) নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আরমান হোসেন। সে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের মেস্তুরি বাড়ির মো. আব্দুল মোতালেবের দ্বিতীয় ঘরের বড় ছেলে। সে অটোরিকশা চালিয়ে বাবা-মা ও ছোট দুই ভাইসহ জীবিকা নির্বাহ করত। স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ অক্টোবর রাতে আরমান নিখোঁজ হয়। এরপর আশপাশের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে গত বুধবার (১ নভেম্বর) হাজীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার বাবা। গতকাল বিকালে ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের হাজীগঞ্জ-পিরোজপুর সড়কের পাশে বালুর স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। লোকমুখে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা আহমেদ পুলিশকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বালুর স্তূপের নিচ থেকে গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। এদিকে খবর পেয়ে নিখোঁজ আরমানের বাবা আব্দুল মোতালেব ও মা পাখি বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং জুতা ও পরনের প্যান্ট দেখে আরমানের মরদেহ শনাক্ত করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, আরমানকে হত্যা করে মরদেহ বালুর নিচে চাপা দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে যায়। এ সময় আরমানের বাবা আব্দুল মোতালেব বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার নিরীহ ছেলেকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা পুলিশ তদন্ত করে বের করুক। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।