ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভোলায় ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে

বেশি ভুগছে শিশুরা
ভোলায় ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে

ভোলায় শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। এছাড়া প্রয়োজনীয় জনবল, শয্যা এবং ওষুধ সংকটে বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

হাসপাতালের সিঁড়ি এবং মেঝেজুড়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে শিশু রোগীদের। ভোলা সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন দুই শতাধিক শিশু রোগী। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অভিভাবকরা।

গতকাল ভোলা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে শিশুদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২০ শয্যার ওয়ার্ড। রোগীর চাপ সামাল দিতে না পেরে জরুরি ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ সেখানে অর্ধশত বেড বসিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। একটি বেডে ৩ থেকে ৪ জন করে শিশু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এরপরও রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ওয়ার্ডের মেঝে, চলাচলের পথ এবং সিঁড়ির নিচেও গাদাগাদি করে বসে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। এতে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। শহরের পৌর কাঁঠালির আকলিমা আক্তার সানজিদা জানান, গেলো রাতে তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে তার দেড় বছর বয়সি শিশু মুনিয়াকে ভর্তি করান।

মুনিয়া ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালে বেড সংকট থাকায় তিনি মেঝেতে বসে তার শিশুকন্যার চিকিৎসা করাচ্ছেন। চর মেদুয়া গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সিমা আক্তার জানান, গেল রোববার তার ২ বছর বয়সি শিশু রিহানকে তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। রিহান নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালে বেড না পেয়ে তিনি সিঁড়ির নিচে বসে গত তিন দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মু. মনিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সাধারণ শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ২১০ রোগীর মধ্যে ১৮০ জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। স্ক্যানোতে ভর্তি আছে ২০ জন এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ড আছে ১০ জন শিশু।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১৮০ জন শিশুর জন্য আছে মাত্র দুটি নেবুলাইজার। এছাড়া রয়েছে শয্যা, নার্স ও চিকিৎসক সংকট। তবে পুরোদমে শীত শুরু হলে শিশু রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।

ডা. মু. মনিরুল ইসলাম আরো জানান, শীত শুরুর এই সময়টাতে শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে হবে। যাতে করে শিশুরা কোনোভাবেই নিউমোনিয়া কিংবা ঠান্ডা রোগে আক্রান্ত না হয়। এছাড়া শিশুদের সবসময় নিরাপদে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত