চেনা রূপে ফিরেছে শরীয়তপুরের মাছ বাজার

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পদ্মা নদীর মাছ ছাড়া যেন চেনাই যায় না শরীয়তপুরের মাছের বাজার। দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শুক্রবার থেকে নদীতে মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। ইলিশ আহরণ শুরু হওয়ায় ফের সরগরম হয়ে উঠেছে শরীয়তপুর মৎস্য আড়তগুলো। যেন চেনা রূপে ফিরেছে মাছ বাজারগুলো। শরীয়তপুরের বিভিন্ন মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, পদ্মা নদীর ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ এসেছে। এতে কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে শরীয়তপুরের মৎস্য আড়তগুলোর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের। শরীয়তপুরের সুরেশ্বর মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের হাঁকডাকে মুখরিত সুরেশ্বর মাছঘাট। গতকাল ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ইলিশের সরবরাহ শুরু হয়েছে এবং চিরচেনা রূপে ফিরেছে এই মৎস্য আড়তটি। জেলেদের ধরা ইলিশ ঝুড়ি করে আড়তে এনে স্তূপ করছেন শ্রমিকরা। আর সেই ইলিশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে নিমিষেই। তবে আড়তটিতে ইলিশের তুলনায় পদ্মা নদীর বড় পাঙাশ বেশি দেখা গেছে। শরীয়তপুরের মাছের আড়তগুলোতে গত কয়েকদিনে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং ছোট সাইজের ইলিশগুলো আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দরে। নদীর পাঙাশ বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। তবে অন্যান্য মাছের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। মাছ কিনতে আসা জুয়েল ব্যাপারি বলেন, অভিযান শেষ হিসেবে পর্যাপ্ত ইলিশ ঘাটে আসবে এরকমটা ভেবে সুরেশ্বর মাছের ঘাটে এসেছি। তবে দাম শুনে মনে হয় আগের থেকে ইলিশের দাম বেশি। কিন্তু মাছ উঠেছে ভালোই। তবে নদীর পাঙাশের দাম কিছুটা কম দেখা গেছে। ডোমসার মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি হানিফ ব্যাপারী বলেন, আমাদের শরীয়তপুরের মৎস্য আড়তগুলো হচ্ছে পদ্মা নদীর মাছের ওপর বেশি নির্ভরশীল। মাছ কিনতে আসা আমির হোসেন বলেন, বিগত পেছনের কিছু দিনের তুলনায় বর্তমানে বাজারে মাছের সরবরাহ বেশি। তবে মাছের দাম একই রয়েছে বরং বেশি। কিন্তু বাজারে ইলিশ মাছ আসাতে মানুষের কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি। শরীতপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে পারছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের মৎস্য অফিস ও প্রশাসনের সহযোগিতায় নিয়মিত অভিযান পরিচালন হয়। ফলে মা ইলিশ নদীতে আসতে পারছে ও মৎস্য সংরক্ষণ অভিযান সফল হয়েছে। এখন জেলেরা মাছ ধরবে এতে করে বাজারগুলোতে ইলিশ সরবরাহ হবে।