ঠাকুরগাঁওয়ে অটোচালক রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাত

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় অটোচালক রিফাত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল সকালে শহরের হাজীপাড়ায় পিবিআই কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ঠাকুরগাঁও পিবিআই’র পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নি:) মো. রবিউল ইসলাম ও পিবিআই’র এসআই জাহাঙ্গীর আলমসহ পিবিআই’র বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। গ্রেপ্তাররা হলেন, পঞ্চগড় সদর উপজেলার জিয়াবাড়ী সদ্দারপাড়া গ্রামের মো. হালিম উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম, একই উপজেলার ভুতমারী গ্রামের মৃত আশরাফ চৌধুরীর ছেলে কামরুল হাসান, আটোয়ারী উপজেলার ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত চৈতনের ছেলে এরাজ ওরফে এরাজ উদ্দিন, তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর হোসেন, রুহিয়া থানার ঘনিমহেষপুর গ্রামের কাশি বর্ম্মনের ছেলে অতুল বর্ম্মন ও আটোয়ারী উপজেলার দেলুয়াডার খৌর গ্রামের মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. নাছির উদ্দিন। পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, গত ১৬ অক্টোবর রিফাত বাড়ি থেকে তার অটোচার্জার নিয়ে বের হয়। দুপুরে সে বাসায় খাবার জন্য না আসায় তার স্ত্রী আশা মনি সন্ধায় তাকে ফোন করলে সে জানায়, ২ জন যাত্রী নিয়ে রুহিয়ার দিকে যাচ্ছি। অনেক রাত অবধি তার কোনো সন্ধান না পেয়ে স্ত্রী আশা মনি পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে বিষয়টি জানালে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৭ অক্টোবর রুহিয়া থানার ঘুরনগাঁছ কুজিশহর গ্রামের চারপুুকরি হতে মন্ডলাদামগামী রাস্তার পাশে বাঁশ ঝাঁড়ের নিচে থেকে রিফাতের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রিফাতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। বিষয়টি অবগত হয়ে ঠাকুরগাঁও পিবিআই স্ব-উদ্যোগে রিফাতের মামলাটি তদন্তের জন্য অধিগ্রহণ করে। পিবিআই টিম মামলার ছায়াতদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এ ঘটনায় জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সাতজনকেই আদালতের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ঘুরনগাঁছ কুজিশহর গ্রামের চারপুুকরি হতে মন্ডলাদামগামী রাস্তার পাশে বাঁশ ঝাঁড়ের নিচে থেকে রিফাতের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামলাটি কুলেস থাকার পর স্ব-উদ্যোগে মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই।