ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নওগাঁয় ঠিকাদারের গাফিলতিতে দুর্ভোগে পথচারী

নওগাঁয় ঠিকাদারের গাফিলতিতে দুর্ভোগে পথচারী

নওগাঁয় ঠিকাদারের গাফিলতিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও এলাকাবাসীদের। চুক্তির মেয়াদ দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ। ফলে কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারকে কাজ শেষ করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রকৌশলীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। আবার রাস্তার কিছু কাজ করা হলেও কোনো টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন নওগাঁর মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ ও জয়েন্ট ভেঞ্চারের ঠিকাদার খলিলুর রহমান। নওগাঁ সদর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিভাগ (সিরাজগঞ্জ জেলা ব্যতিত) পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে সদর উপজেলার হাঁপানিয়া বাজার থেকে জেলার বদলগাছী উপজেলার প্রধানকুন্ডি এলাকা পর্যন্ত সাত দশমিক ৩৭৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়। যার চুক্তিমূল্য ধরা হয়- ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী কাজটি শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারিতে। কাজ শেষ হওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে ১ বছর ৮ মাস। সঠিক নির্মাণ পদ্ধতিতে কাজ করতে ঠিকাদারকে পরপর সাতটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ তাকে চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর চিঠি দেওয়া হয়। হাঁপানিয়া জিসি-মাতাজিহাট জিসি রাস্তাটি সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১ বছর ৮ মাস আগে। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই ঠিকাদার গড়িমশি শুরু করে। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করতে গিয়ে বার বার বাধার মুখে পড়তে হয় ঠিকাদারকে। এলাকাবাসীসহ সদর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগও তার ওপর ক্ষিপ্ত। বার বার তাকে তাগাদা দিয়ে কাজ করে নিতে হয়।

অবশেষে আর কাজ না করেই ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। কাজ পড়ে থাকায় শুরু হয়েছে জনদুর্ভোগ। দ্রুত এর প্রতিকার চান স্থানীয়রা। বর্ষাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী বলেন- রাস্তার কাজ হচ্ছে হবে এমন অবস্থা। কবে শেষ হবে তা আমরা কেউ জানি না। তবে রাস্তা এভাবে ফেলে রাখার কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। এ বিষয়ে মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ ও জয়েন্ট ভেঞ্চারের ঠিকাদার খলিলুর রহমান বলেন- ভালোমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কাজের একটি টাকাও আমাকে দেওয়া হয়নি। আর টাকা না পেলে কাজ করব কি দিয়ে।

উপজেলা প্রকৌশলী আমার সঙ্গে বার বার ঝামেলা করার চেষ্টা করছেন। তাকে হুমকিধামকি দেওয়ার বিষয়টি ঠিক না। নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তা ও ঠিকাদারকে নিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে আছি। ঠিকাদার সঠিক নির্মাণ পদ্ধতিতে কাজ না করে রাতের আঁধারে নিম্নমানের মালামাল নিয়ে এসে নিজের মতো করতে চাইছেন। কাজটি শেষ করার জন্য তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষের মেয়াদও প্রায় দেড় বছর পার। পর পর সাতটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কাজ করছেন না। এখনো দুই ইঞ্চি উঁচু করে খোয়া ফেলতে হবে। তবে মাত্র দুই কিলোমিটার ডব্লিউবিএম করা হয়েছে। তারপর পাকাকরণ করতে হবে। কেন কাজ করছেন তা তিনিই ভালো জানেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত