কুড়িগ্রামে ভেঙে গেছে গিদারি নদীর ওপর নির্মিত সেতু

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পানির স্রোতে ভেঙে পড়া সেতুর বিকল্প রাস্তা তৈরি করে জনসাধারণের জন্য চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর বিকল্প রাস্তাটি চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এর আগে ১৯ অক্টোবর ভোরে পানির তীব্র স্রোতে সেতুর নিচে মাটি সরে গিয়ে গিদারি নদীর সেতুটি ধসে পড়ে। প্রায় ৫৫ বছর আগে পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারি নদীর ওপর গ্রামীণ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গত মার্চে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গিদারি নদীর খনন কাজ শুরু করেন। খননের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। এতে নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় সেতু ভেঙে পড়ে। ফলে সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন পান্ডুল ইউনিয়নের শতাধিক মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে সেতুটির পিলারের একাংশের মাটি পানির স্রোতে ধসে যায়। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ শতাধিক মানুষ চলাচল করত। কিন্তু গত ১৯ অক্টোবর বিকালে সেতুটি হঠাৎ করে ধসে পড়ে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৫ থেকে ৬ গ্রামের প্রায় ১৬ হাজারের অধিক মানুষে। গ্রামগুলো হচ্ছে আমভদ্র, চিকলীরপাড়, সাতগ্রাম, হিন্দুপাড়া ও কাগজীপাড়া। পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত গিদারি নদীর উপর সেতুটি পাকিস্তান আমলে নির্মিত হয়েছিল বলে জানান ভুক্তভোগীরা। অবশেষে পান্ডুল ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যেগে জনসাধারণের দুর্ভোগ কমাতে চলাচলের জন্য কাঠ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে তৈরি করে ২৪ অক্টোবর সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এখন সেটি দিয়েই এলাকার শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ অনায়াসে চলাচল করছেন। শিক্ষার্থী প্রতিমা রানী, লক্ষ্মী রানী, ছালমাসহ অনেকেই বলেন, গিদারি নদীর ওপর সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলাম। বিদ্যালয়ে যেতে অনেক কষ্ট হতো। এখন অস্থায়ী বিকল্প রাস্তা হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের জোর দাবি জানান তারা।

এলাকাবাসী জানান, সেতুটি ধসে পড়ায় প্রায় ৫ গ্রামের মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল। এছাড়া হালকা ও ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে তাদের ২ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হতো। এর কারণে সময় ও অর্থ দুয়ের অপচয় হয়েছিল। এখন পান্ডুল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অস্থায়ী বিকল্প রাস্তা তৈরি করে জনসাধারণের দুর্ভোগ কমিয়েছেন। পান্ডুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আপাতত ব্যক্তিগত খরচে জনসাধারণের জন্য বিকল্প রাস্তা হিসেবে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেতুটি ধসে পড়ার বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী কে কে সাদেকুল আলম জানান সেতু পুনর্নির্মাণে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, সেতুটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।