গাইবান্ধায় সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কমেছে

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গাইবান্ধায় শীতকালীন শাকসবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গড়ে অর্ধেক দাম কমেছে। এতে ভোক্তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরছে। গতকাল দুপুরে গাইবান্ধার পুরোনো বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরে দেখা গেছে শাকসবজি দাম কমের হিসাব। বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, মুলা-বেগুন ৩০ টাকা, শসা ২০ টাকা, টমেটা-সিমণ্ডবরবটি ৬০ টাকা, পটোল ৩০ টাকা, করলা-ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, আলু ৪৫, কাঁচামরিচ-পেঁয়াজ ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২৫ থেকে ৪০ টাকা দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, কলমিশাক, লাউশাক, মূলাশাক, সরিষাশাক, ধনেয়া শাকসহ বিভিন্ন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। অথচ গত এক সপ্তাহ আগে এসব শাকসবজি দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৃষিভাণ্ডারখ্যাত হিসেবে গাইবান্ধা জেলা। এখানকার গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ীসহ অন্যান্য উপজেলার মাঠপর্যায়ে ব্যাপক শাকসবজি উৎপাদন হয়। বিশেষ করে রবি মৌসুমে (শীতকালীন) অধিক পরিমাণের শাকসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এ বছরে তা ব্যত্যয় ঘটেনি। তবে গেল খরিপ মৌসুমে উৎপাদন কম ও অন্যান্য পণ্যের দামের প্রভাবে শাকসবজির ঊর্ধ্বগতি দাম ছিল। সেটি রবি মৌসুমে এসে কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ভোক্তা শাহজাহান আলী বলেন, সবজিসহ অগ্নিমূল্য পণ্য দামে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সবজির দাম কিছুটা কমলেও এখনও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। খুচরা বিক্রিতা লালমিয়া জানান, গত এক সপ্তারের ব্যবধানে সব ধরনের সবজি অর্ধেক দাম কমেছে। দাম কমলে বিক্রি বাড়ে। এতে লাভ হয় বেশি। কৃষক শমশের আলী বলেন, চলতি রবি মৌসুমে দেড় বিঘা জমিতে সবজি আবাদ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ফসল সংগ্রহও চলছে। আগামী এক সপ্তাহ পর পুরোদমে উৎপাদন হবে। আরো দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করেও লাভ থাকবে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, চলতি রবি মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে।