ঝালকাঠিতে সুপারির ভালো ফলনেও হতাশ চাষি

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

প্রতিবছর ঝালকাঠি জেলায় কয়েক কোটি টাকার সুপারি ক্রয়-বিক্রয় হয়। সুপারি অঞ্চলখ্যাত দেশের ঝালকাঠিতে এবার বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন সুপারি চাষিরা। বেচাকেনায় ভালো দামও পাচ্ছেন না চাষিরা। সারা দেশে সরবরাহের পাশাপাশি রফতানিও হচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জানা যায়, জেলার ৪৭১টি গ্রামের মধ্যে রাজাপুরের ৫৪টি গ্রামে এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব সুপারি জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে দেশের নানা প্রান্তে। এমনকি বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। সুপারি কিনতে দূর-দূরান্তের পাইকাররা এখন স্থানীয় বাজারগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঝালকাঠির সুপারি ভারত, চীন, থাইল্যান্ডে রপ্তানি হয়। যশোর ও বেনাপোলের কিছু ব্যবসায়ী ঝালকাঠি থেকে সুপারি কিনে তা ভারতে এবং চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা চীন ও থাইল্যান্ডে রফতানি করেন। সরজমিনে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা হাটে সুপারি কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। এছাড়াও রাজাপুরের বাদুরতলা, সাতুরিয়ার লেববুনিয়াসহ জেলার ৮৯টি সাপ্তাহিক হাটে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে ভিড় জমাচ্ছে শত শত কৃষক ও পাইকার। কেনাবেচা হচ্ছে কোটি টাকার সুপারি। বাজারগুলোতে স্থানীয় হিসাব অনুযায়ী প্রতি কুড়ি (২১০ দশটি সুপারিতে এক কুড়ি) সুপারির ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে রাজাপুরের সুপারির সুখ্যাতি থাকায় পাইকারদের হাত ঘুরে বড় জাতের সুপারি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। রাজাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজাপুর উপজেলার ৫৪টি গ্রামের ৩০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা সুপারির বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে। অনেকে আবার বাড়ির পাশে সুপারিগাছ লাগিয়েও ভালো ফলন পেয়েছেন। গত এক যুগের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে বলে দাবি করছে কৃষি বিভাগ।

বর্তমানে স্থানীয় বাজারগুলোতে সুপারির দামও ভালো না থাকায় সুপারিবাগান মালিকরা হাতাশায় ভুগছেন। রাজাপুরের চাড়াখালী এলাকার সুপারির বাগান মালিক কিসমত ফরাজী বলেন, গত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর ফলন হয়েছে তিন গুণ। আর সুপারির আকারও হয়েছে অনেক বড়। দাম কম হলেও এ বছর আমি লক্ষাধিক টাকার সুপারি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। রাজাপুরের বাঘরি বাজারে ভ্যানগাড়িতে করে সুপারি নিয়ে আসা হাসান জানান, এক ভ্যানগাড়ি সুপারি এক হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

এগুলো পাইকাররা কিনে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের বাজারে বিক্রি করে। চট্টগ্রাম থেকে সুপারি কিনতে আসা পাইকার গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা এখান থেকে সুপারি কিনে ট্রাকযোগে চট্টগ্রাম নিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে আড়তে সুপারির আকার নির্ধারণ করে বড় সাইজগুলো বিদেশে রপ্তানির জন্য মজুদ করি এবং অন্য সুপারিগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালান করছি।