নিশান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি

শর্ত ভঙ্গ করে মাধবপুরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হীরেশ ভট্টাচার্য্য হিরো, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কোটি কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করছে নিশান নামে একটি সংস্থা। নিশান স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির নাম করে আর্তসামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে সচেষ্ট আর্থিক ব্যানারে গ্রহণ করছে কোটি কোটি টাকা আমানত। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া প্রধান কার্যালয় হলেও ইউনিয়ন, উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে আশপাশের জেলাগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে নিশানের ব্রাঞ্চ। নিশান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মাধবপুরে ৩টি, চুনারুঘাটে ৩টি. শায়েস্তাগঞ্জের ১টি, শ্রীমঙ্গলের পূর্বাশা এলাকায় ৩টি, মৌলভীবাজারের ভৈরব বাজারে ১টি ও ভানুগাছে ১টি সহ মোট ১২টি শাখা অফিস করে আর্থিক লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছে এ সংস্থাটি। বিভিন্ন এলাকার কয়েক শতাধিক যুবক-যুবতী দিয়ে উল্লেখিত ব্রাঞ্চগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় ২ হাজার ১০০ গ্রাহকের সঙ্গে এই লেনদেন হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিক মুনাফার লোভে অনেক গ্রাহক প্রতিষ্ঠানিক আইনি বৈধতা যাচাই করতে আগ্রহী নন। নিশানের প্রচারপত্রে মাইক্রোক্রেডিট, রেগুলেটরি, অনুমোদন নম্বর ০০৭৪ সমবায় কার্যালয় কর্তৃক নিশান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নিবন্ধন নং-১১৫৭, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃৃক নিশান স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি নিবন্ধন নং এস-৮২৭ (২৯৮) এবং সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক নিশান কল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন নং-৬২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১০ সাল থেকে নিশান সমাজ কল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন নং ৬২৪-এর কমিটির নবায়ন না থাকায় এবং উক্ত নিবন্ধনের সকল শর্ত ভঙ্গ করায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অনুমোদনের জন্য যে আবেদন দাখিল করা হয়েছিল সেই আবেদনের ০০৭৪ নম্বর দিয়ে লেনদেন করলেও অনুমোদন প্রাপ্তির শর্তপূরণ করতে না পারায় উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবেদন দেওয়া হয়নি।

জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদন ছাড়াই উক্ত সংস্থাটি কোটি কোটি টাকা সঞ্চয় করছে। প্রতি লাখে ২ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা মাসে লাভ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে অত্র সংস্থার বিশেষ প্রশিক্ষিত অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে শতশত লোকের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করছে। ১৫০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে শুধুমাত্র আমানত জমাদানকারী ও নমীনির ছবি লাগালেও তাতে আমাতন গ্রহণকারী সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নাম বা পদবি নেই। শুধুমাত্র একটি স্বাক্ষর দিয়ে কৌশলে কর্জের চুক্তিনামা লিখে কোটি কোটি টাকা আমানত গ্রহণ করছে ওই সংস্থার লোকজন।