ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শ্যামনগরে এসএসসির ফরম পূরণ

অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ

অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ

শ্যামনগর প্রায় সবকয়টি স্কুলে এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। জানা যায়, শ্যামনগরের অধিকাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ছাত্রছাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে শিক্ষাকরা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছে, সংসার চালাতে তার ওপর সন্তানদের পরীক্ষার ফিস দিতে শিক্ষকরা রেখেছে চাপের মুখে। শিক্ষকরা ৩১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে এসএসসির ফরম পূরণে।

বোর্ড নিধারিত ফিস রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে বোর্ড ফিস-১ হাজার ৬২৫ ও সেন্টার ফিস ৫১৫ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায়িক শিক্ষা ১ হাজার ৫৩৫ টাকা ও সেন্টার ফিস ৪৮৫ টাকা অথচ শিক্ষকরা এসব না মেনে ইচ্ছামতো টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গরিব অভিভাবকরা গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি বিক্রি করে শিক্ষকদের দাবি পূরণে বাধ্য হচ্ছেন। কলবাড়ী নেকজানিয়া স্কুলের এসএসসিতে ৩৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে তাদের সবার অভিযোগ- শিক্ষকরা ৩ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। শিক্ষকদের দাবির টাকা না দিলে পরীক্ষা দিতে দেবে না এমন হুমকি দিয়েছে। এ খবর কাউকে জানালে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হবে বলে পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দিয়েছে। কোনো ছাত্র যদি কোনো বিষয়ে অকৃতকার্য থাকে, তাদের কাছে থেকে বিষয় প্রতি আরো ২০০ টাকা করে অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে।

নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একছাত্র জানায়, তার মায়ের পরনের কাপড় বিক্রি করে পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা দিতে বাধ্য করেছে শিক্ষকরা। একজন অভিভাবক জানান, গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি বিক্রি করে সন্তানদের পরীক্ষার টাকা জোগার করতে হয়েছে।

এক ছাত্র জানায়, ২ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে স্যারের কাছে গিয়েছিলাম স্যার টাকা না নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, এখনো ফরম পূরণের টাকা দিতে পারি নাই। এ ব্যাপরে নেকজানিয়া মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিবাশিষ বাবুর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সামান্য কিছু বেশি নিচ্ছি স্কুলের খরচের জন্য।

এব্যাপারে কথা হয় মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নকিপুর পাইলট গালর্স স্কুলের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণনন্দ মুখর্জীর সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেকে আমার কাছে বলেছে, আমি নিষেধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে মাধ্যামিক শিক্ষা কর্মকর্তারা সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, অতিরিক্ত টাকা নিলে যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত