ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লোহাগড়ায় ভুয়া নিয়োগপত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি

লোহাগড়ায় ভুয়া নিয়োগপত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি

নড়াইলের লোহাগড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ২০১৩ সালে জাতীয়করণের সময় ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সরকারি চাকরি করার অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ নেননি কোনো ব্যবস্থা। সরেজমিন সাংবাদিকরা অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায় যে, লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর গ্রামের শফিকুর রহমানের মেয়ে উমাইরা খানম ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর এসপিএল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে নিয়োগ পান। নিয়োগপত্র প্রাপ্তির দিনই উমাইরা খানম স্মারক নং এসপিএল/ বেপ্রা/ নিয়োগ ২৮-১২-২০০৮ যোগদান করেন। ২০১৩ সালে ১৫৯ নং এসপিএল নামে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হয়। বিদ্যালয়টি বেসরকারি থাকাকালীন সহকারী শিক্ষিকার নাম উমাইরা খানম থাকলেও বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ হওয়ার পর নাম বদলে হয়েছে ফাতেমা খানম।

ওই বিদ্যালয়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে দুইটি শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট রয়েছে। ১৯৯১ সালে এসএসসি সার্টিফিকেটের নাম ফাতেমা খানম। ঢাকা বোর্ড, রোল-নং-৩৬৩৫৯। নিবন্ধন সংখ্যা- ১০৪৬৮৫/ ১৯৮৯। আবার ২০০৫ সালের দাখিল পাসের সার্টিফিকেটে নাম উমাইরা খানম। ঢাকা বোর্ড-রোল-নং-১১৩৩৮৬। রেজিস্ট্রেশন নাম্বার- ৬৭৮০৩৭/২০০৩। জানা যায়, যে উমাইরা এবং ফাতেমা আপন দুই বোন। উমাইরা খানমের সার্টিফিকেট দিয়েই প্রথম থেকে চাকরি করে যাচ্ছেন ফাতেমা খানম। এলাকাবাসী বলেন, এক ব্যক্তি দুই নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুইটি সার্টিফিকেটে ভিন্ন ভিন্ন নাম দেখিয়ে কীভাবে চাকরি করতে পারে। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি তারা মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়োগ দিয়েছি, তারা হলেন, মো. ইকালজ আলী চৌধুরী প্রধান শিক্ষক, মোসা: উমাইরা খানম সহশিক্ষিকা, মোসা: চম্পা খানম সহশিক্ষিকা, মোল্যা সোহেল রানা সহশিক্ষক। এ ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকলাজ আলী চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক মোল্যা সোহেল রানা ও চম্পা খানম বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠানকালীন সময়ে মোছাম্মৎ উমায়রা খানমসহ আমরা তিনজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি, ২৮-১২-২০০৮ সালে একসঙ্গে যোগদান করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত