পাখির কলকাকলিতে মুখর পবিপ্রবি ক্যাম্পাস

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. রাকিবুল হাসান, দুমকি (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সন্ধ্যা হলেই বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। গত কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে গাছপালা ও আশপাশে দেখা যাচ্ছে এ নয়নাভিরাম দৃশ্য। আনুমানিক লক্ষাধিক পাখির কলকাকলিতে শেষ বিকাল থেকেই মুখর হয়ে ওঠে পবিপ্রবির বৃক্ষরাজিবেষ্টিত মূল ক্যাম্পাস এলাকা। সরেজমিন দেখা যায়, এসব পাখির মধ্যে রয়েছে চড়ুই, বাবুই, শালিক, ঘুঘু, বক ও কাক পাখিসহ নানা প্রজাতির পাখির আনাগোনা। ক্যাম্পাসের পূর্ব গেট থেকে পশ্চিম গেট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের মেহগনি, একাডেমিক ভবনের সামনে রাস্তার পাশে নারিকেল ও প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তার পাশে আমগাছসহ বিভিন্ন ফলফলাদি ও বৃক্ষজ গাছের ঝোঁপে এবং বিদ্যুৎলাইনের তারের উপরে এসব পাখির শেষ বিকালে ঝাঁকেঝাঁকে আগমন ঘটে। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগেই শুরু হয় এসব পাখির আশ্রয় নেওয়ার মহড়া। এরপর গাছে গাছে আশ্রয় নিয়ে মনের আনন্দে স্বভাবজাত ডাকাডাকি শুরু করে। গভীর রাতে নিস্তব্ধতা অবলম্বন করে আজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আবার শুরু হয় কলকাকলি ও কিচিরমিচির শব্দ। সকাল হলেই চলে যাওয়া শুরু হয়ে যায় অন্যত্র। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, আমরা সান্ধ্যকালীন সময়ে ঝাঁকেঝাঁকে আগমন এবং তাদের কিচিরমিচির শব্দ ও কলকাকলি খুবই উপভোগ করি পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি স্বচোখে দেখার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। পবিপ্রবির হর্টিকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী এ প্রসঙ্গে বলেন, এসব পাখি শহর বা গ্রামে মানব বসতির কাছাকাছি যে কোনো পরিবেশে নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্যে মানিয়ে নিতে পারে। প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা থাকলেও জনহীন বনভূমি, তৃণভূমি ও মরুভূমিতে এসব পাখির বসবাস করতে খুব একটা দেখা যায় না। এরা সাধারণত শষ্যদানা, আগাছার বীজ, পোকামাকড় ও উচ্ছিষ্ট নানা রকমের খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে।