ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভেঙে গেছে সেতুর পাটাতন

ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন
ভেঙে গেছে সেতুর পাটাতন

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে দুটি সেতুর পাটাতন ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। ফুলছড়ি উপজেলা সদর হতে বোয়ালী হয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা যাওয়ার পথে সীমান্ত মোড় নামক স্থানে বুড়াইল খালের উপর সেতুর পাটাতন ভেঙে গেছে প্রায় দুই বছর হলো। এছাড়া উদাখালী ইউনিয়নের কর্তিকুড়া হতে মাছেরভিটা রাস্তায় উত্তর কাঠুর সীমানায় খালের উপর সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে গেছে প্রায় ৪ বছর হলো।

সেতুর পাটাতনের ভাঙ্গা অংশে কাঠের টুকরো বসিয়ে কোনোভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ পথচারীরা। প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। পাটাতন ভাঙা থাকায় ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারায় স্থানীয় হাটবাজারে ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহণ করতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

প্রতিদিন এ সড়ক দুটি দিয়ে জনসাধারণ ছাড়াও শতশত শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, কর্তিকুড়া হতে মাছেরভিটা রাস্তায় উত্তর কাঠুর সীমানায় খালের উপর সেতুর পাটাতন ভেঙ্গে গেছে প্রায় ৪ বছর হলো। স্থানীয়রা এক রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতায় ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে সাময়িকভাবে হালকা যান চলাচলের উপযোগী করেছেন। এভাবে ৪ বছর অতিবাহিত হলেও সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা হারুনার রশিদ বলেন, সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীসহ হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে যাতায়াত করে কিন্তু ৪ বছর ধরে সেতুটির পাটাতন ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তার দাবি, ভাঙা সেতুটির মেরামত করতে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বারবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে বলা হলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অপরদিকে বুড়াইল খালের উপর সেতুর পাটাতন ভেঙে যাওয়ার ২ বছর পার হলেও সেতুটি পুনর্নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

প্রধান শিক্ষক শামসুজ্জোহা বাবলু বলেন, ভাঙা সেতু দিয়ে এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করছে। যে কোনো সময় এটি ধ্বসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিদিন এই সেতুতে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এই সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তিনি সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।

ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, কর্তিকুড়া হতে মাছেরভিটা রাস্তায় উত্তর কাঠুর সীমানায় খালের উপর সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া সীমান্ত মোড় নামক স্থানে বুড়াইল খালের উপর সেতুটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনর্নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমি ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দুটি দেখেছি। জনসাধারণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। আপাতত অস্থায়ীভাবে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত সেতু দুটি পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত